পাকিস্তানের পেশোয়ারে নামাজের সময় এক বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২। এছাড়া আহত হয়েছে ১৫০ জনেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মসজিদটি ছিল পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্সের ভেতরে। সেখানে সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য জোহরের নামাজ পড়েন। আর পুলিশ লাইন্সে প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য থাকেন।
স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা অর্থাৎ জোহরের নামাজের সময় ওই বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মুসল্লিতে ঠাসা ছিল।
মসজিদটির একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক মুসল্লি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এই হামলা ছিল আত্মঘাতী। হামলাকারী সামনের কাতারে বসে ছিল এবং শরীরে বাঁধা বোমা ফাটিয়ে দেয়। নিহতদের মধ্যে মসজিটির ইমাম সাহিবজাদা নূর উল আলমও রয়েছেন।
খাইবার পাকতুনখাওয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক মোয়াজ্জাম জাহ আনসারি জানিয়েছেন, কিভাবে হামলা হলো, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, 'হামলাকারী কিভাবে এলো, তা আমরা জানি না।'
তিনি বলেন, পুলিশ লাইন্সের ভেতরে ফ্যামিলি কোয়ার্টার রয়েছে। হামলাকারী আগে থেকেই সেখানে বসবাস করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মসজিদটিতে প্রবেশের সময় দুটি নিরাপত্তা ফটক পাড়ি দিতে হয়।
টার্গেট পুলিশ?
পাকিস্তানের সরকারি এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার টার্গেট ছিল সম্ভবত পুলিশ। কারণ নিহতদের বেশির ভাগই ছিল ওই বাহিনীর সদস্য।
পেশোয়ার নগর পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইজাজ খান স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, বিষ্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।
পেশোয়ারের লেডি রেডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বলেন, আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, 'জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।'
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন এই হামলার পেছনের লোকদের সাথে 'ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।'
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেন, 'সন্ত্রাসের এই হুমকি মোকাবেলায় জাতি ঐক্যবদ্ধ।' শাহবাজ শরিফ পেশোয়ারে গেছেন। রাজধানী ইসলামাবাদে পুলিশ উচ্চ-সতর্কাবস্থা জারি করেছে। রাজধানীতে ঢোকার এবং বেরুনোর সব পথে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সূত্র : জিও নিউজ, বিবিসি ও অন্যান্য
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন