শিবগঞ্জে মা-বাবার ফেলে যাওয়া ১৯ মাসের জমজ শিশু কন্যার ঠাঁই হলো দাদির কোলে। গত সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জমজ শিশুকে দাদি রুমালী বেগমের নিকট হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। এ সময় বিভিন্ন উপহার সামগ্রীসহ দেয়া হয় নগদ আর্থিক সহায়তা।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে গত ৩ বছর আগে উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের চক নাধড়া গ্রামের তাজরিনের সঙ্গে কানসাট বালুচর গ্রামের আবদুল আওয়ালের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গত চারমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর পরিবারের লোকজনদের অগোচরে জমজ শিশু ঘরে রেখে পিতার বাড়ি চলে যান মা তাজরিন বেগম। এমনকি তাজরিনের স্বামীও গেছেন আত্মাগোপনে। পরে জমজ শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েন দাদি রুমালী বেগম।
গত বৃহস্পতিবার ১০৯৮ নম্বরে ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে রোববার সমাজকর্মী সেনাউল ইসলাম তাদের বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ে তাদের ডাকা হয়। একই সঙ্গে শিশু দুটির সার্বিক বিষয়াবলী বিবেচনা করে সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালিত সিএসপিবি প্রকল্পের কেস ম্যানেজমেন্টের আওতায় নিয়ে আসা হয়। পরে বিভিন্ন দিকনিদের্শনা দিয়ে জমজ শিশু আরিশা ও আনিশাকে তাদের নিকট হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। সঙ্গে দেয়া হয় বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ। একই সঙ্গে আরিশা ও আনিশার দেখভালের জন্য প্রতিমাসে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, পরিবারিক কলহের কারণে জমজ শিশুটি সেবা যতœ থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমানে কিছুটা হলেও শিশুদের সেবা নিশ্চিত হবে। পরিবারই হোক তাদের নিরাপদ আস্থার ঠিকানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান হাবিব ও শিবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন