প্রেমিক শামীম ফকিরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৪ দিন ধরে অনশন করছেন মারিয়া আক্তার (২০) নামের এক সন্তানের জননী। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে শামীম ফকিরের বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাসন্ডা গ্রামের জলিল ফরিকের ছেলে শামীম ফকিরের (২৩) সাথে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই গ্রামের মোতাবেক হাওলাদারের মেয়ে এক সন্তানের জননী মারিয়ার সাথে এক বছর আগে তার (মারিয়া) ভাবির মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন থেকেই শামীম ফকির মারিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
মারিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, এক বছর ধরে শামীম ফকির বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। আমি ঢাকার মিরপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। গত ৬ মাস আগে শামীম আমাকে মির্জাগঞ্জ মাজারে নিয়ে বিয়ে করবে বলে অঙ্গিকার করে। পরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকা মিরপুর-১ এ বাসাভাড়া নিয়ে থাকি। সম্প্রতি বিয়ের কথা বলে তার নিজ বাড়ি বাসন্ড আসতে বলে পালিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয় শামীমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল্লাহ সানু বলেন, মেয়ে আমার বাড়িতে এসে অভিযোগ করায় ছেলে পক্ষের লোকজনকে খবর পাঠিয়েছি। সুষ্ঠু সমাধান করতে না পারলে থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, গত ৬ বছর আগে আমতলী উপজেলার ফার্নিচার মিস্ত্রি মো. রাহাত এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মারিয়ার। সেখানে তার ৫ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৬ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন