টেকনাফ উপজেলা সংবাদদাতা : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে টেকনাফে পালিয়ে আসা ৪৪৪ রোহিঙ্গাকে আটকের পর ৩৭টি নৌকায় করে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত নাফ নদীর তিনটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাবাহী ওইসব নৌকা বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এসময় তাদের মিয়ানমারে দিকে ফেরত পাঠানো হয়।
ফেরত পাঠানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে রোববার হ্নীলা সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী ও পরে বিজিবি কর্তৃক আটক ৩৪৫ জন ছিল।
টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা মুসলমান ৩৭টি নৌকায় করে তিনটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় নাফ নদীর হ্নীলা, দমদমিয়া ও টেকনাফ পয়েন্টের সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ওইসব নৌকা মিয়ানমারে দিকে ফেরত পাঠায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা।
মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী বলেন, রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত এসব নৌকায় প্রায় ৪৪৪ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিল। প্রতিটি নৌকায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১০-১২ জনের মতো ছিল।
এর আগের দিনও নাফ নদীর ওই তিন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৩৪টি নৌকায় সাড়ে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবির বাধায় তারা মিয়ানমারের দিকে ফিরে যায়।
এ ছাড়া রোববার ভোরে উখিয়া স্থল সীমান্ত দিয়ে ৩৩ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি তাদেরকে মিয়ানমারে পুশব্যাক করে।
টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী বলেন, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টেকনাফের নাফ নদীসহ সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে টহল জোরদার রয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় মিয়ানমার পুলিশ বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত হন। এরপর থেকে ওই রাজ্যে মুসলমান বিরোধী অভিযানে নামে দেশটি সেনাবাহিনী।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যা করছে।
নির্যাতনের মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। অনেকেই এরই মধ্যে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এ ছাড়া অনেককে ফেরত পাঠানো হচ্ছে মিয়ানমারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন