কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়ন মাছিমপুর গ্রামের হারুনর রশীদ এর মেয়ে ফাতেমার উপর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বরোটার দিকে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে। তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে নিজ এলাকায় এনে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, এখন রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়।
আহত ফাতেমা আক্তার জানান, হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়ন মনাইরকান্দি গ্রামের কামাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে তৌহিদুল মোল্লার সাথে ২০১০ সালে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দের লাখ টাকা ও আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। প্রথম ১-২ বছর সংসার ভালই চলছিলো। যখন আমার ছেলে বাবু হয় তখন থেকে যৌতুকের জন্য বারবার আমার ওপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। তিনি আরো বলেন, আমার পরিবার অসহায় নেই মোটা অংকের টাকা, তারপরও ধার দেনা করে আবার ২ লাখ টাকা দেয় এবং খালা থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে একটি বসত ঘর করে দেয়। তারপর আবার টাকার জন্য মারধর শুরু করে, টাকা দিতে না পারায় তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গত কুরবানি ঈদের পর কোর্টের মাধ্যমে তাকে একতরফা তালাক দিয়ে নোটিশ পাঠায় তখন সে ২ সন্তানের মা। তখন তার বড় ছেলে হাবিবুর রহমানের ১১ বছর ও মেয়ে মরিয়মের ৭ বছর। তারপর তার কাবিনের টাকার জন্য কোর্টে মামলা করে। মামলায় ১ লাখ নব্বই হাজার টাকা রায় হয়। পাঁচবারে কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৭০ হাজার দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার কোর্টের মাধ্যমে বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ১ টাকাও দেয়নি। ফাতেমা বলেন, আমি কোর্ট থেকে নামার সময় তালাকপ্রাপ্ত স্বামী তৌহিদুল মোল্লা ও তার বাবা কামাল মোল্লাসহ ৫/৬ জন আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে, তখন আমি অচেতন হয়ে পরে যাই। এখন আমার মুখ ও গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে, তিনি এর বিচার দাবি করেন।
এবিষয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী তৌহীদুল মোল্লা জানান, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না, আদলতে হাজিরা ছিলো হাজির হয়ে চলে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন