বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নাঙ্গলকোটে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

সায়েম মাহবুব, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নাঙ্গলকোট উপজলার ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের ৭০ পদ শূন্য। সমস্যা নিরসনে একটি সুপারিশনামা গত নভম্বেরে পাঠানো হয়েেছ বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা র্কাযালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভারপ্রাপ্তগণসহ শিক্ষকদের সমমানের হওয়ায় মান মান্যতা নেই, ফলে পড়াশুনার মান উন্নয়নের গতি থমকে গেছে। এছাড়া ক্ষণিকের ভারপ্রাপ্ত পদে দায়িত্ব পালনে তুষ্ঠ হতে পারছেন না অনেকে। দাপ্তরিক কাজের ব্যস্ততায় অফিসের নামে সময় কাটান কেউ কেউ। এতে ক্লাস বিঘœ হচ্ছে হরদম, দায়িত্ব এড়িয়ে চলছেন সহকারীরা। বর্তমান শিক্ষা অফিসার মিনহাজ উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহনের পর এ চাল চিত্রের তেমন পরিবর্তন প্রথমে লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে পূর্ব তিমিরেই। অপরদেিক বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলো নানান সমস্যায় ভুগছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলায় সরকারি ও জাতীয়করণ (সাবেক রেজস্টার্ড প্রাথমকি বিদ্যালয়) মিলিয়ে মোট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে সরকারি ৭৮টি ও জাতীয়করণরে অর্ন্তভুক্ত ৬৪টি। এ সব বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯টি ও জাতীয়করণের আওতাধীন বিদ্যালয়সমূহে ৪১টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর এ সব পদ বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চালানো হচ্ছে। ১৯২টি সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য। শূন্যপদ পূরনের উদ্যোগ লক্ষ্যনীয় নয়। এই ১৫২টি বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৭৮৩ জন। প্রাকপ্রাথমিক বিদ্যালয়র মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ২০ জন। অপরদিকে সম্প্রতি সরকারি ১৫শ’ বিদ্যালয় প্রকল্প নামে এক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়ছে। ঐ প্রকল্পের নিয়ম হচ্ছে যে সব গ্রামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই সেই সব গ্রামে সর্ম্পূণ সরকারিভাবে অত্যাধুনকি বিদ্যালয় ভবন ও সরকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ প্রকল্পের মধ্যে উপজলোর মক্রবপুর ইউনয়িনরে বান্নাঘর মোকরা ইউনিয়নের বিরলী, বাঙ্গড্ডা ইউনয়িনের রামারবাগ গ্রাম মিলিয়ে এই উপজলোয় মোট ৩টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতো কিছুর পরেও উপজলোয় শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক রয়েছে বলে জানা গছে। তবে এ ব্যবধান কমিয়ে প্রতি ৩৫ জনে ১ শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে শিক্ষা অফিসার মিনহাজ উদ্দিন জানান। অপর দিকে উপজলোর বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, যে সব শিক্ষকরা কর্মস্থল থেকে বাসা দূরে তারা যাতায়াতরে অনুযোগ তুলে যথাসময়ে বিদ্যালয়ে আসে না। আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে তারা কর্মস্থল ত্যাগ করেন বলে অনেক অভিবাবক নিশ্চিত করেন। সাম্প্রতিক সময়ে নাঙ্গলকোট উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উপজলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে যে সব শিক্ষক গুরুত্বর্পূণ পদে নির্বাচন করেছেন তারা সময়ে অসময়ে ক্লাশ না করে নির্বাচনের কাজে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। আবার অনেক শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে কিংবা কাজের কথা বলে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। যে সব সহকারী শিক্ষকের প্রধান শিক্ষকর সাথে সর্ম্পক ভালো থাকে ঐ সকল শিক্ষক নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না বলে বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান। নাঙ্গলকোট উপজেলার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় উপজলা প্রাথমিক শিক্ষা র্কমর্কতা মিনহাজ উদ্দিনের কাছে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের তেমন কোন সমস্য নাই। অফিসের বিটিসিএল-এর ল্যান্ড ফোনটি গত ১ বছর ধরে নষ্ট হয়ে আছে। যার কারণে অনেক কাজে যোগাযোগ করতে সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনহাজ উদ্দিন একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা এবং সরকারি যানবাহনও রয়েছে তাঁর। কিন্তু বেশির ভাগ সময় তিনি শিক্ষকদের হোন্ডায় চড়ে ঘুরে বেড়ান এতে শিক্ষকের স্কুল ফাঁকির সুযোগ তৈরি হলেও তোয়াক্কা করছেননা তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন