হাটহাজারীর উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মো. বাদশাহ (৪০) নামে এক প্রবাসীর মারধরে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকালে জব্বার আলি চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্নে রওশন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা গেছে, নিহতের মালিকানাধীন পুকুর থেকে সেচ দিতে নিষেধ করায় একই এলাকার মাহবুব সওদাগর প্রকাশ লেইঙ্গা মাহবুব নামে এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে নিহতের খালা মনোয়ারা বেগম ও খালাত ভাই বাবলু বলেন, গত শুক্রবার অনুমতি ছাড়া বাদশাহর বাড়ির পুকুর থেকে মেশিন দিয়ে সেচ দেয় অভিযুক্ত মাহবুব। গতকাল সকালে আবারো সেচ দিতে গেলে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বাদশাহ নিষেধ করে। এ নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন জব্বার আলি চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালাগালের এক পর্যায়ে বাদশাহকে মারধর করে গুরুতর আহত করে মাহবুব। খবর শুনে উপস্থিত লোকজন ও বাড়ির লোকেরা আহতবস্থায় বাদশাহকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত মাহবুব আবারো সেখানে গিয়ে দরজা খোলার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করে। ইট দিয়ে দরজায় আঘাত করতে থাকে। পরে সবার অনুরোধে মাহবুব চলে গেলে বাদশাহকে উনার শ্যালক মো. আলমগীরসহ বাড়ির অন্য সদস্যরা সরকারহাটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শ্যালক আলমগীর বলেন, নিহতের স্ত্রী পিত্রালয়ে ছিলেন। ঘটনা শুনেই তাকে নিয়ে দ্রুত ছুটে আসেন। এসেই হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহতের বুক, হাত পাসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এদিকে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন মডেল থানার পুলিশ। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ বলেন, ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের কেউ এখনো আসেনি। আসলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহত ওই এলাকার আলমের বাড়ির মৃত নুর ইসলামের পুত্র। দুই মাস আগে প্রবাস থেকে বাড়ি ফেরে। তার আট বছরের তানিশা নামে এক কন্যা ও পাঁচ বছরের সাফিত নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন