এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ত্বত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীন ভোটের চ্যালেঞ্জ জানালেন হিরো আলম। রোববার বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে ভোট পুন: গণনার আবেদন জমা দিতে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এই চ্যালেঞ্জ করেন হিরো আলম।
তিনি আরও বলেন, ' আমার নির্বাচনী ফলাফল তারা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেনি। এনিয়ে আমার সন্দেহ ছিল। তাই সবগুলো ভোট কেন্দ্রের ফলাফল আমি জোগাড় করেছি।
কিছু কেন্দ্রে আমিসহ প্রায় সব প্রার্থী অস্বাভাবিক ভোট পেয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলো উল্লেখ করে দিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে ভোট পুন: গণনার আবেদন দিয়েছি। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তবে কবে তা' গণনা করবে সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি। যদি তারা সাড়া না দেয়, আমি হাইকোর্টে যাবো। '
বিএনপি হিরো আলমের পক্ষে কাজ করছে কিনা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ' বিএনপি আমার পক্ষে কাজ করলে ভোটের দিন তারা মাঠেই থাকতো। বিএনপির কোন লোক আমার সাথে ছিলোনা। এসবই কিছু লোকের বানানো কথা। শুধু বিএনপির মির্জা ফখরুল স্যারই নয় সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশ আমার পক্ষে কথা বলেছে।
হিরো আলম আরও বলেন, ' সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল স্যার বলেছেন, হিরো আলম জিরো হয়ে গিয়েছে। তবে হিরো আলম কখনও জিরো হয়না। যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গিয়েছে। সেতু মন্ত্রী আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। তবে একজন মন্ত্রী দেশের নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন আসুন খেলা হবে। আমি ওবায়দুল স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সাথে করতে হবেনা৷ আমি হিরো আলমের সাথে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কিনা ? খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পাননা৷ আমার সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন।
হিরো আলম আরও বলেন, ' আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।আগামীতে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। '
উল্লেখ্য গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। বগুড়া- ৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদ প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এর পরেই হিরো আলম অভিযোগ করেন যে এই আসনে ভোট সুষ্ঠু হলেও গণনার সময় ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন