দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা নদীতে পানি ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ডুবচর দেখা দেওয়ায় বিআইডাবিøউটিএ ড্রেজিং মেশিন দিয়ে পলিমাটি অপসারণ করে লঞ্চ ও ফেরি রুট চালু রেখেছে। রাত্রিকালিন সময়ে ফেরি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রো-রো ফেরিতে পাইলট থাকার নিয়ম থাকিলেও বিআইডাবিøউটিএ পাইলট না পাঠানোর কারণে ঝুঁকি নিয়ে ফেরি চলছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডাবিøউটিএর টিও মো. সালাউদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে ৭, ৪ ও ৩ নং ফেরি ঘাট চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ৪টি ফেরিঘাট কবে নাগাদ চালু হবে তা কেউ বলতে পারছে না। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ প্রভৃতি জেলা থেকে সার, সিমেন্ট, তৈল প্রভৃতি মালামাল বোঝাই কার্গো জাহাজের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
পদ্মা নদীতে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় দৌলতদিয়া ৭নং ঘাটের অদূরে ছোট ট্রলারে করে মালামাল আনলোড করা হচ্ছে। ২/৩ দিন এখানে প্রতিটি জাহাজ অপেক্ষার পর আংশিক মাল ছোট জাহাজে আনলোড করার পর উক্ত জাহাজ পাবনা জেলার বাঘাবাড়ি ও নগরবাড়ি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে জাহাজের ভাড়া অতিরিক্ত হওয়ার কারণে মালামালের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছর থেকে আরিচা বন্দরের বিআইডাবিøউটিএর পোর্ট অফিসার এস এম সাজ্জাদুর রহমান জানান, জাহাজে মালামাল পরিবহনের ওপর বিআইডাবিøউটিএ টোল আদায় করছে। টন প্রতি কি পরিমান টোল ধার্য্য করা হয়েছে তাও তিনি জানান নি। অভিযোগ রয়েছে বিআইডাবিøউটিএ নদীতে জাহাজে মালামাল পরিবহনের ওপর টোল আদায় করার জন্য ট্রেন্ডারে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়।
ঠিকাদাররা টোলের টাকা না দিলে তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। টোল আদায়ের নিয়মের কোন সাইবোর্ডও ঘাট এলাকায় টানানো হয় নি।
বিআইডাবিøউটিএর উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সহযোগিতায় অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। আরিচা বন্দরের বিআইডাবিøউটিএর পোর্ট অফিসার এস এম সাজ্জাদুর রহমান আরো জানান, পদ্মা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে নৌপথ সচল রাখার জন্য চলতি বছর টোল আদায়ের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন