সিএনজি চালিত অটোরিকশার দখলে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক। মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিগঞ্জ বাজার এলাকায় এসব অটোরিকশার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসীর চলাফেরা কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের ভোগান্তি।
অটোরিকশা সিএনজি চালকরা মহাসড়কে যেখানে-সেখানে অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করেন। উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজার মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ঘোষিত স্ট্যান্ড থাকা সত্তে¡ও সড়কের ওপরে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে রেখেছেন একটি চক্র। এজন্য দিনভর যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ততম সড়কটিতে অটোরিকশার রাজত্ব। সড়কের পুরোটাই তাদের দখলে। সড়কটির মুরাদনগর উপজেলা অংশর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, এই আঞ্চলিক মহাসড়কে স্ট্যান্ড বসিয়ে চলছে তাদের রাজত্ব। উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজার চত্ত¡র থেকে ১৪ ও ১৫ নং নবীপুর পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের আরও অনেক জায়গাজুড়ে মহাসড়কের ওপরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় কয়েকশ’ অটোরিকশা সিএনজি।
এসব অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে কিছু ব্যক্তির চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে সড়কের মূল ফটক দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে কিংবা চলাচল করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি এই অটোরিকশা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দিনভর উপজেলার বিভিন্ন প্রবেশপথে অটোরিকশা যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এলাকার স্থানীয়রা হাইওয়ে থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, হাইওয়ের থানার ওসি ও ইউএনও ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী পথচারীরা বলেন, মানুষ আর পুরনো কথা বলতে চান না, তারা চান এর দ্রæত সমাধান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পথচারী কয়েকজন জানান, এ মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষ এ পথের যাত্রী। সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে এসব মানুষের দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ হাইওয়ে থানা পুলিশ উপজেলা প্রশাসন অবৈধ স্ট্যান্ড সড়ানোর জন্য কোন উদ্যোগই নিচ্ছেন না।
উপজেলা ১৫নং নবীপুড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন বলেন, আমি এবং ১৪নং নবীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গত মাসে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অতি দ্রæততম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে অটোরিকশা সিএনজি মহাসড়কের ওপর থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছি।
মিরপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পিপিএম এই বিষয়ে বলেন, আমরা হাইওয়ে পুলিশ সর্ব অবস্থায় কাজ করে যাচ্ছি এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর অটোরিকশা সিএনজি জব্দসহ নিয়মিত মামলা দিচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভ‚ঁইয়া জনি বলেন, স্থায়ী স্ট্যান্ড থাকা সত্তে¡ও মহাসড়কের ওপর সিএনজি অটেরিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন