শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পটিয়ায় ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভুল অপারেশনের কারণে জয়নাব বেগম ঝর্ণা (২০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ঝর্ণা বেগমের শ^াশুর বাড়ি জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামে। তার স্বামী ওই গ্রামের ব্যাংকার ছৈয়দ নূর বলে জানা গেছে। ঝর্ণার ভাই জাহাঙ্গীর আলমের একটি মানবিক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার ঝর্ণার মা নূর জাহান বেগম জানান, তার মেয়ে ঝর্ণাকে গত বুধবার সকালে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩ টায় ডা. এমদাদ ও ডা. জুয়েল প্রসূতি ঝর্ণাকে সিজার অপারেশন করে। ডা. তাকে একটি মেয়ে সন্তান হয়েছে বলে জানায়। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে অপারেশনে রোগী ঝর্ণা ও তার বাচ্ছাকে ওটি থেকে বের না করলে ঝর্ণার মায়ের সন্দেহ হয়। তখন সে জোর করে ওটি রুমে ঢুকে পড়ে। সেখানে দেখেন ঝর্ণার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে ও তার খিচুনি শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় ঝর্ণার মা নুর জাহান থেকে ডা. এমদাদ একটি কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর না দিলে ডা. ঝর্ণার মাকে বলেন রোগী এখানে রাখলে রাখতে পারেন নয়তো চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন। ঝর্ণার অবস্থা খারাপ দেখে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঝর্ণাকে অ্যম্বুলেন্স যোগে চট্টগ্রাম নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করে সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। ওই দিন দুপুর ২ টায় ঝর্ণার মৃত্যু ঘটে। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মা এখন পাগল প্রায়। ঝর্ণার পিতা মো. রফিকের ২ ছেলে ১ মেয়ে। পিতা রফিক আহমেদ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঝর্ণার মা নুর জাহান বেগম অভিযোগ করেন গাইনী ডা. ফারহানা অপারেশন করালে তার মেয়ের এমন করুন মৃত্যু হতো না। ডা. এমদাদ ও ডা. জুয়েল ভুল অপারেশন করে তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। এদিকে ঝর্ণার নবজাতক শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে ডা. এমদাদুল ইসলাম থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ভুল সিজার অপারেশন করিনি। সিজার করার সময় রোগীর অবস্থা ভালো ছিল না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন