শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্রাহ্মণপাড়ায় নিষিদ্ধ ট্রলি-ট্রাক্টরের অবাধ বিচরণ

মো. আবদুল আলীম খান, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিভিন্ন সড়ক ও অলিতে-গলিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ট্রলি ও ট্রাক্টর। উপজেলার ছোট-বড় সকল সড়কে সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। লাইসেন্স, সিগনাললাইট ও হর্ণ ছাড়াই এগুলো রাস্তায় চলাচল করছে। এ সুযোগে অনেক অদক্ষ ও কিশোর বয়সের ছেলেরা চালাচ্ছে এসব গাড়ি। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাসহ রাস্তায় যানজট, কালো ধোঁয়া ও শব্দ দূষণ হচ্ছে। এছাড়াও এসব যানবাহনের কারণে গ্রামগঞ্জের কাঁচা-পাকা রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনার কারণে যানজটের পাশাপাশি প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাক্টর শুধুমাত্র চাষাবাদের জন্য বৈধ থাকলেও এখন অবৈধভাবে পণ্য পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বল্প খরচে ভারি কাজ করানোর জন্য লোকজন এসব যান ব্যবহার করেন।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া থানার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন অনেক বালু, ইট ও সুরকি বিক্রির মহল তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধ ট্রলি ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে ইট, বালু, রড, সিমেন্ট, মাটি ও গাছসহ বিভিন্ন পণ্য অতিরিক্ত বোঝাই করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কখনোও কৃষি জমির মাটি ও বালি মহাল থেকে পলি বালু নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। যদিও এসব যানবাহন রাস্তায় পরিবহনের কোন সুযোগ নেই।
অনেক ট্রাক্টরের মালিক চাষাবাদের পর ট্রাক্টারে অতিরিক্ত বডি লাগিয়ে অবৈধভাবে রাস্তায় নেমে আসে। ইট, সিমেন্ট, বালু, মাটি ও কংক্রিট পরিবহন করে। আর লোকজন টাকা বাঁচানোর জন্য ট্রলি ও ট্রাক্টর ভাড়া করে। এতে পরিবহনে অনুমদিত গাড়িগুলো লোকেসানে পরছে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না করার কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন বলেন, ট্রলি ও ট্রাক্টর যখন ব্রাহ্মণপাড়া বাজার অতিক্রম করে, তখন প্রায়ই বাজারে যানজট সৃষ্টি হয়। স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় যখন এসব গাড়ি রাস্তায় চলে তখন স্কুলের বাচ্চারা রাস্তা পারাপারের সময় অনেক ভয় পায়।
ট্রাক্টার চালক মাইনুদ্দিন ও গোপাল নগর গ্রামের ট্রলি চালক মো. ফারুক বলেন, ‘আমরা বেকার ও গরিব মানুষ, গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ নেই, শিখে নিয়েছি। গাড়ি বৈধ-অবৈধ বুঝি না। আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে পরিবার চালাই।’ সচেতন মহল মনে করেন এসব নিষিদ্ধ গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। না হয় দিনদিন এসব যানবাহনের প্রভাবে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, এই ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন সময় ভ্রামান্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ড্রাইভারদের জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
এই প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন