রাজধানীর আগারগাওস্থ বন ভবনের হৈমন্তী অডিটরিয়ামে বিসিএস বন সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিসিএস বন ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিসিএস বন সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ দুই বছর। আগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর হলেও বৈশ্বিক কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে নতুন কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়নি। বার্ষিক সাধারণ সভায় বিষয়টি অনুমোদনের জন্য তুলে ধরা হয় এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের নিমিত্তে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয়।
সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী তার বক্তব্যে ৩৮তম বিসিএস থেকে যোগদানকৃত ২১ জন সহকারী বন সংরক্ষককে স্বাগত জানান এবং তাদের মাধ্যমে সংগঠনটি আরো গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নতুন কমিটির গতিশীল নেতৃত্ব বিসিএস বন সমিতির কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে।
বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে বন অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মতো আয়তনে ছোট একটি দেশে এতো বিশাল সংখ্যক জনগণের চাপ বেশি হওয়ায় এখানে বন ও বনভূমি রক্ষা কঠিন কাজ। কিছু ব্যক্তি, মহল বা সংগঠন বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে না পেরে বন অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, বন রক্ষা করতে গিয়ে অনেক বনকর্মী আহত হয়েছেন, এমনকি প্রাণও দিতে হয়েছে। তিনি বিসিএস বন সমিতির পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
অনুষ্ঠানে বিসিএস বন সমিতির নেতারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস, বাসভবন ও যানবাহনের অবস্থা নাজুক। এ দিকে নজর দিতে হবে। তারা বলেন, বন অধিদপ্তরের লোকবলের সঙ্কট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সকল বিষয়ে বিসিএস বন সমিতির সকল সদস্যকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কোষাধ্যক্ষ অজিত কুমার রুদ্র সংগঠনের বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব উপস্থাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন