যশোরের ভৈরব নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। শহরের বাবলাতলা ব্রিজের অদূরে ভৈরব নদ থেকে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা এক ঠিকাদার প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছে বলে মানববন্ধন থেকে দাবি করেছে জনউদ্যোগ যশোর।
বালু উত্তোলন বন্ধে সংগঠনটি মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এরআগে ৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি ও ৫ জুন প্রেস মিট করে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল।
জনউদ্যোগের সদস্য রুকুনউদ্দৌলাহ বক্তব্যে বলেন, গত মে জুন মাসে ভৈরব নদ থেকে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে নিয়ে পুলিশ লাইনের মধ্যবর্তী একটি পুকুর ভরাট করা হয়। এখন এক ঠিকাদার ভৈরব নদ থেকে বালু তুলছে। এতে দুই পাড়ের ভূমি ধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয়মূলক এ ধরনের কার্যক্রম চললেও প্রশাসন থেকে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন আইনি লড়াই ছাড়া উপায় নেই।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, খনন কাজ চলমান থাকার সময় শহরের ড্রেন দিয়ে নদে এসে পড়ছিল ময়লা আবর্জনা। ঠিকাদার এসব সরাতে ড্রেজিং মেশিন স্থাপন করেছিলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ড্রেজিং মেশিন দিয়ে সম্প্রতি মাটি কাদা নদের পাড়ে রাখা হচ্ছে। কিছু বালু উঠলেও উঠতে পারে। সেখান থেকে শুধু বালুই উত্তোলন করছে সেটা সরাসরি বলা ঠিক হবে না। তবে এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুণ-অর-রশিদ, যশোর মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, সিপিবির যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, উপশহর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, জনউদ্যোগ যশোরের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুমা বেগম, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান ও ফারাজী আহম্মেদ সাঈদ বুলবুল, জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন