পঞ্চগড় সদর উপজেলার নতুন চাকলা হাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চার কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান সরকারকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান এসে দুই পক্ষের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট বাতিল ঘোষণা করে, আবার নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বচ্ছ পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাসে রুম থেকে অবরুদ্ধ মুক্ত হলেও স্কুল মাঠে পুলিশের গাড়ির পথ আটকায় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে প্রধান শিক্ষক লিখিত দিয়ে কোন মতে পুলিশ তাকে নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। সোমবার রাতে ওই বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নতুন চাকলা হাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী অপারেটর, পরিচ্ছন্নাকর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক একজন করে নেয়া হবে। তারই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত সোমবার দুপুর ২ টায়। অংশ গ্রহণ করে ৩৯ জন। লিখিত ও ভাইবা শেষ করে চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেন নিয়োগ কমিটি। সেই তালিকার খবর বাইরে জানাজানি হলে, অন্য চাকরিপ্রার্থীদের লোকজন টাকা ফেরতসহ পরীক্ষায় অনিয়মের জন্য অবরুদ্ধ করেন তাদেরকে। স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়োগের জন্য একাধিক লোকজনের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চাকরি বঞ্চিতরা টাকা ফেরতসহ পরীক্ষায় অনিয়মের জন্য প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন। তার আগে সন্ধ্যায় নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ জাকির আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রমাণিক, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সফিজুল হক নামাযের কথা বলে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রমাণিক জানান, ডিজির প্রতিনিধিসহ প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট প্রধান শিক্ষকের হাতে দিয়ে আসছি অন্য কি হয়েছে তা জানিনা। পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত ঝামেলা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন