দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (২৯) মাতুভূঞা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে উত্তর আলীপুর গ্রামের সারেং বাড়ির জসিম উদ্দীন দুলালের ছেলে।
ভুক্ততভোগী ওই নারী ও এজহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী ও অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন একই বাড়ির বাসিন্ধা। সে সুবাধে দেলোয়ার ওই নারীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই মহিলা রাজি না হওয়ায় তার সন্তানদের হত্যার হুমকিও দেয় দেলোয়ার। গত ৭ বছর পূর্বে ভুক্তভোগী ওই নারীর ঘরে কেউ না থাকায় দেলোয়ার জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে। এরপর থেকে ধর্ষণের দৃশ্য ফেসবুকে ছডিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আবার দুই সন্তানসহ পরিবারের সকলকে হত্যার হুমকি দিয়ে গত ৭ বছর ধরে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে আসছে ওই যুবলীগ নেতা। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি গোপন রেখে তার নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। কিন্তু গত দু’মাস আগে তার স্বামী বাড়িতে আসার পর থেকে দেলোয়ারকে পাশকাটিয়ে চলার চেষ্টা করলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সে। স্বামী দেশে থাকাবস্থায় গত দু’সপ্তাহ পূর্বে সে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে আবারো ধর্ষণ করেন। এবং তাকে পাশকাটিয়ে চলার চেষ্টা করলে আমার ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিবে এবং আমার সন্তান ও স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলবে। তাই বাধ্য হয়ে বিষয়টি স্বামী এবং ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করলে সকলেই আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তাই সোমবার রাতে স্বামী ও আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে থানায় এজাহার দায়ের করি। পুলিশ অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাকে ওইদিন গ্রেপ্তার করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্ল্যা আল মামুন জানান, ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবার আমাকে জানিয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফেনী আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন