সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

স্বামীর হাতে খুন

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর হাতে হালিমা খাতুন (২৪) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার রামরাইলে এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর আলমগীর নামে তার স্বামী পলাতক হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুর রহমান জানান, নেশাগ্রস্ত আলমগীরের বাবা তার পুত্রবধূ হালিমার নামে একটি জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। কিন্তু আলমগীর হালিমাকে ওই জমিটি তার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ হত। এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় স্বামী তাকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল সকালে স্থানীয় ঘটনাটি জানতে পেরে থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আলমগীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
শিশুর লাশ উদ্ধার
গত সোমবার সন্ধ্যায় গলায় ওড়না পেঁচানো এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু হলো স্বপ্না বেগম (১৪)। সে ওই এলাকার দিন মজুর আব্দুল হান্নানের মেয়ে। জানা যায়, স্বপ্না বেগম স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। গত রোববার বিকেলের পর সে নিখোঁজ হয়। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন ভেবেছিল সে হয়তো কোন আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছে। তবে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে একটি ডোবায় স্থানীয়রা তার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, স্বপ্না বেগম কারখানায় আসা যাবার পথে সহকর্মী ৩ বখাটে যুবক তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঈনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন