কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ৭৪নং ফেকামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক পদ শূণ্য, একজন সহকারী শিক্ষক সাময়িক সংযুক্তি নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে পাঠদান করছেন। তিনি সদ্য আরও একবছর সাময়িক সংযুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন। ফলে ১০ বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সঙ্কট চলছে। কিন্তু নতুন শিক্ষক পদায়ন করা যাচ্ছে না। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষক তাসমীর শেখ উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ৭৪নং ফেকামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়নের কিছুদিন পর ২০১৩ সালে সাময়িক সংযুক্তি নিয়ে একই উপজেলার মসূয়া ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করছেন। তার ব্যক্তিগত সুবিধার কারণে সাময়িক সংযুক্তির মেয়াদ পুনরায় আরও এক বছরের জন্য বর্ধিত করেছেন। এতে এলাকার শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ সংযুক্তি না নিয়ে তিনি বদলি হয়ে যেতে পারতেন। তাহলে অত্র বিদ্যালয়ে অন্য একজন শিক্ষককে পদায়ন করা যেতো। বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে তাসমীর শেখ এর সাময়িক সংযুক্তি বাতিল অথবা তাকে বদলি করে অন্য কোনো শিক্ষককে ফেকামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়নের দাবি জানান। স্বেচ্ছাচারীভাবে দীর্ঘ ১০ বছর শিক্ষককে সাময়িক সংযুক্তির মাধ্যমে অন্যত্র প্রেরণ এবং পদায়নের কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ সৃষ্টির অদশ্য রহস্য উদঘাটন এবং সুষ্ঠু লেখাপড়ার স্বার্থে বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সহকারী শিক্ষক তাসমীর শেখ মুঠোফোনে জানান, সাময়িক সংযুক্তি বা বদলির বিষয়টি শিক্ষা অফিসের। অফিসের সিদ্ধান্তেই আমি দায়িত্ব পালন করছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত বণিক জানান, সহকারী শিক্ষক তাসমীর শেখের সাময়িক সংযুক্তি বাতিল করে আমার কাছে প্রস্তাব প্রেরণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে (খন্দকার মো. আফজাল হোসেন) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংযুক্তি বাতিল করে দ্রুতই সঙ্কট নিরসন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন