বিষয়টি কোন নাটক বা সিনেমার কাহিনী নয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের গার্ড একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। তার কর্মকান্ডে বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধভাবে চেম্বার করে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিচ্ছে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের গার্ড। তার নাম হিমেল আহমদ চৌধুরী, সে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সরিষাকান্দি গ্রামের জমসেদ চৌধুরীর ছেলে। সে কমলগঞ্জের ‘ইউনিয়ন আদর্শ জুনিয়র হাইস্কুলের’ অষ্টম শ্রেণি পাস একটি সনদ দিয়ে ২০১৬ সালে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে গার্ডের চাকরি নেয়। বেতন পায় ১৬ হাজার ১৩০ টাকা। স্কুল সনদ অনুযায়ি তার বয়স ৩০ বছর ২ মাস।
সে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ হাজী ময়না মিয়া মার্কেটের নিচ তলায় সন্ধানী ফিজিওথেরাপি নামের একটি চেম্বার করে চিকিৎসা দিয়ে আসলেও এই গার্ড রয়েছেন ধরাছোয়ার বাইরে।
শুধু তাই নয়, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার, মৌলভীবাজার ও কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক চেম্বার রয়েছে বলে সে নিজেই জানান। সে আরো জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আমতৈল প্রতিবন্ধি কেন্দ্রের শিশু অটিজমে সেবা দিয়ে থাকে। তার এই ভুল চিকিৎসার কারণে অনেকেই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে একজন চিকিৎসক জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রতিবন্ধী বিষক কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক ইনকিলাবকে বলেন, একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হতে হলে কমপক্ষে এইচএসসি পাস ও চার বছরের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তার এ ধরনের কোন যোগ্যতা নেই। ২৪ ঘণ্টা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ডিউটি করার কথা। এর বাইরে যদি সে কোন কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তাদের অফিসে অশুভ আচরণসহ নানা কারণে তাকে শোকজও করেছেন বলে জানান। অভিযুক্ত হিমেল চৌধুরী জানায়, সে ট্রেনিং নিয়ে এই ফিজিওিথেরাপি চিকিৎসার চেম্বার করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন