রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগে চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে জালিয়াতি করেছে একটি প্রতারক চক্র। পরে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অবৈধ টাকাসহ প্রতারক চক্রের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য দিয়েছেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম খান। পরে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ব্রা²ন্দী গ্রামের মৃত আবুল বেপারীর ছেলে ইউনুস আলী বেপারী ও হোগলপাতিয়া গ্রামের মৃত জালাল হাওলাদারের ছেলে রিপন হাওলাদার।
পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম খান জানান, শনিবার সকালে মাদারীপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের মাঠ পর্যায়ে শারিরীক মাপ ও কাগজপত্র বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গোপন সংবাদে জানতে পারে কতিপয় প্রতারক চক্র মাদারপুর পোস্ট অফিসের সামনে অধৈক টাকা নিয়ে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সাবিক আকন নামে এক চাকুরী প্রত্যাশীর পরিবার থেকে চার লাখ টাকা লেনদেন করছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ সেখান থেকে ইউনুস আলী বেপারী ও রিপন হাওলাদার নামে দুই জনকে টাকাসহ আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা অবৈধ টাকার বিনিময় চাকুরী দেয়ার কথা ¯^ীকার করেছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন জায়গায় চাকুরী দেয়ার কথা বলে অবৈধ লেনদেন করেছেন বলেও জানা গেছে। রাতেই এদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রায়হান সিদ্দিকী শামীম।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘এবার মাদারীপুর জেলায় ৪৫ জন রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকেই গোয়েন্দা নজরদারী জোরদার করা হয়েছিল। তারাই ফলে প্রতারকদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এরা দীর্ঘ দিন ধরেই প্রতারণার সাথে জড়িত। আগামীতেও যারা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অবৈধ কর্মকাণ্ড করবে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিচুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন