ফরিদপুর সদর থানার পশ্চিম খাবাসপুর মিয়ার পাড়ার এলাকার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুল আহাদ পিতার ঘর থেকে তারই মেঝ কন্যার লাশ উদ্ধার করেছেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ এবং জেলা সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি প্রতিনিধি দল। পঁচা গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসী গতকাল রোববার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে কোতায়ালী থানা পুলিশকে জানান। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এস আই মিজানসহ ৫ জনের একটি দল। তার সাথে যোগ হন সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল। পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘরের বারন্দায় আটকানো অবস্থায় ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক লাশের খবরে পুড়ো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, মরহুম মুক্তিযোদ্বা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আহাদ হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট থেকে ৭/৮ শতক জায়গা কিনে এখানে বসত ভিটা গড়ে তুলেন। আব্দুল আহাদ এবং মনোয়ারা বেগমের ঘরে ৫ সন্তান জন্ম নেয়। এর মধ্যে ৪ মেয়ে ১ ছেলে। রহিমা বেগম লিটা বিবাহিত, মৃত ঝুমা আক্তার (৩৫) অবিবাহিত। সেঝ মেয়ে রুমা (২৮) বিবাহিত, নওয়া সুমা বিবাহিত। একমাত্র ছেলে আব্দুল ওয়াসিম পিতা মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় পুলিশ সদস্য পদে চাকরি পান। বর্তমানে তিনি পাইকগাছা থানায় দায়ীত্ব পালন করছেন। কিন্ত ঐ ছেলের সাথে পরিবারের কারোর কোন সম্পর্ক নাই বলে প্রত্যদর্শী এলাকাবাসী জানান।
প্রতিবেশি নিয়ামুল ইনকিলাবকে জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, গত ৯/১০ দিন আগে আমার কাছে পানি খেতে চেয়েছিল, কিন্তু তার মায়ের খারাপ আচরণে এলাকাবাসী কেউ ঐ বাড়িতে যায়না।
এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা মো. মিজান বলেন, ঘটনার কোন মন্তব্য করতে পারছি না। তবে বিষয়টি অনেক লম্বা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে থানার চান একজন পরশি। তাৎক্ষণিক ছুটে আসি আমরা। পঁচা গন্ধ থেকে ঘটনার উৎপওি। পরে সরেজমিন পুলিশ ঘরের বারান্দায় তল্লাশী করলে ঐ পরিবারের মেঝ কন্যার পঁচা গলিত ও মুখম-ল বিকৃত কাপড়ে মোড়ানো চকির নিচে পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার কর হয়। সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম এবং যৌথভাবে তদন্ত করে ঘটনার কারণ পেয়ে যাবো। লাশ দেখে মনে হচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে মারা হয়েছে। তবে হত্যার সন্দেহ হয়। মৃত ঝুমার মা রহিমা বেগম এবং ছোট মেয়ে সোমা আক্তার সুমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় পরিবারের কেউ বাদী হয়ে মামলা করেননি। তবে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছেন।
মন্তব্য করুন