কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নাঙ্গলকোট-মৌকরা সড়কে গত দু’বছর ধরে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে জনসাধারণ চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সড়কটি ৩ বছর ধরে সংস্কারের চেষ্টা করছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। যাতায়াতের বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও ঠিকাদার জনদুর্ভোগের প্রতি গুরুত্বই দিচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো সড়ক বর্তমানে ইটেরগুড়ো বালু মিশে পাউডারে পরিনত হয়ে বর্তমানে কাঁচা সড়কে রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাথর ওঠে গিয়ে খানাখান্দে রূপ নেয়ায় ছোট বাহনও চলাচল করতে পারছে না। একটি বাহন চলতে গেলে পচা ইটের লাল ধুলোয় দু’পাশের এলাকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধূলায় ধূসর থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে বাধ্য হচ্ছে জনগন। প্রতি মুহূর্তে চলছে শত শত যান বাহন। স্কুল কলেজ ও মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী নিশ্চিত জামা কাপড় ময়লার ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।
প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ৩.৭ মিটার প্রস্থের, সাড়ে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রাস্তাটি নির্মাণে প্রয়োজনী শর্তাদি পূরণ হচ্ছে না মর্মে এলাকাবাসী অভিযোগ জানিয়ে আসছে।
সড়কে সৃষ্ট গর্তে পড়ে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন হতে সংস্কারের নামে রাস্তার স্বাভাবিকতা নষ্ট করে পথচলা দুরহ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় ফতেপুর বাজারের ব্যবসায়ী ধনমিয়া জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন চলাচল অনুপযোগী সড়ক এ উপজেলায় আরেকটি নেই।
ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহাবুদ্দিন জানান, প্রতিটি মুহূর্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ধূলোর অন্ধকারে পথ চলতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। দায় আসছে শিক্ষকদের ওপর। বেশি দুর্ভোগে আছেন শিক্ষার্থীরা কিন্তু কেউ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখছেন না। এছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ চললেও মনে হয় দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় মৌকরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফউদ্দি আলমগীর জানান, রাস্তাটি সময়মত কার্যসম্পন্ন না হওয়ায় জন্য ভোগান্তি বেড়েছে। মৌকরা মাহফিলের পূর্বেই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
আনোয়ার কনস্ট্রকশনের কার্য সহকারী শহিদুল আলম বলেন, হঠাৎ নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে এবং সামনে মাহফিলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নব উদ্যমে কাজ চলছে।
এ বিষয় নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন জানান, রাস্তা সংস্কারে টেন্ডার হয়, সে মতে ঠিকাদার আনোয়ার কনস্ট্রাকশন কাজও শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদার কি কারণে কাজের গতি হারায় তা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। কাজ সম্পন্ন করতে সময় ক্ষেপন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশা করছি মৌকরা মাহফিলের পূর্বেই কাজটি সম্পন্ন হবে, বর্তমানে কাজ চলমান আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন