নান্দনিক রূপে সেজেছে শেরপুর গারো পাহাড়েরর গজনী অবকাশ কেন্দ্র। জেলার সমতল ভূমির সৌন্দর্য দেখতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে যান গারো পাহাড়ে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রে। গতকাল চিত্ত বিনোদনে পর্যটন কেন্দ্রে নতুন সংযোজন ভাসমান সেতু, ওয়াটার কিংডম, পেরাট্রবা এবং জেলা ব্র্যানডিং কর্ণার ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনার উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। নতুন রাইডার যুক্ত হওয়ায় গজনীর আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে জেলা প্রশাসক গজনীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এর আগে গজনী অবকাশে নির্মিত হয়েছে নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঝুলন্ত ব্রিজ, জিপলাইনিং ও ক্যাবলকার। ঝুলন্ত ব্রিজে পাহাড়ের এক টিলা থেকে অপর টিলায় যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন পর্যটকেরা। ক্যাবলকারে চড়েও উপভোগ করতে পারছেন দুই পাহাড়ের মধ্যকার অনাবিল সৌন্দর্য। অবকাশ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেশ কিছু স্থাপনা ও ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পর্যটকদের হাঁটা-চলার জন্য পাহাড়ের বুক জুড়ে তৈরি সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। উঁচু পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত। শিশু দর্শনার্থীদের জন্য চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক, গজনী এক্সপ্রেস ট্রেন, শিশুকর্ণার, দোলনা নৌকা, সুপার চেয়ার, অত্যাধুনিক দোলনা ও নাগর দোলা। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জাদুঘর ও ফুড কর্ণার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিডি এলজি মো. তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মুক্তাদিরুল আহমেদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মো. ফারুক আল মাসুদ, ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো: মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন