শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

দখল-দূষণে নবগঙ্গার মরণ দশা

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কেউ নদীর পাড় দখল করে গড়ে তুলছেন স্থাপনা। কেউ নদীতে ফেলছেন ময়লা-আবর্জনা। আবার কেউবা নদীর সঙ্গে বাড়ির স্যুয়ারেজ লাইনের সংযোগ স্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে দখলে দূষণে বেহাল দশা মাগুরা শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর।
নড়াইল জেলা থেকে উৎপত্তি নবগঙ্গা নদী জেলার শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলা হয়ে মাগুরা শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে এক সময়ের ক্ষরস্রতা নবগঙ্গার মূল অংশ, প্রায় একশ’ কিলোমিটার নদীই প্রবাহিত হয়েছে মাগুরা জেলার ওপর দিয়ে। মাগুরার প্রাণ হিসেবে পরিচিত এই নদী দখল ও দূষণে রীতিমতো তালমাটাল হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির দখলবাজ মানুষ।
নবগঙ্গার পাড় দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। অন্যদিকে, গোটা শহরের বর্জ্য ও ময়লা ফেলায় নদী এলাকা পরিণত হয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে। একই সঙ্গে শহরের অধিকাংশ ড্রেন ও বাড়িঘরের স্যুয়ারেজ লাইন নদীতে সংযোগ দেওয়ায় এর পানি পচে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের মাগুরা জেলা সভাপতি আনিচুর রহমান বলেন, নবগঙ্গা নদী মাগুরার প্রাণ। কিন্তু নদীটি দখলে-দূষণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মাছসহ জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। তারা নবগঙ্গা নদী রক্ষায় এরই আগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পরিবেশ রক্ষা ও জেলাবাসীর স্বার্থে নদীটিকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন ও শহরের বাইরে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ করা হয়েছে। তবে নবগঙ্গা নদীকে রক্ষা করতে হলে পৌরবাসীকে আগে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মোমিনুল ইসলাম বলেন, নবগঙ্গা নদীটি দখলমুক্ত করে এটি খননের জন্য সংশ্নিষ্ট দফতরে একটি প্রকল্প জমা দিয়েছেন।
প্রকল্পটি পাস হলে নদীটির নাব্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন