নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ৬নং বড়ধূল ইউনিয়ন পরিষদ। সরকারি নানা বরাদ্দ পেতে জনগণকে গুণতে হয় নগদ টাকা। আর চাহিদামত টাকা দিতে না পারলে মেলেনা কিছুই। একই সাথে জন্ম-মৃত্যু সনদসহ যে কোন কাগজ তুলতেই সরকারি ফি বেশি টাকা দিতে হয় অভিযোগ স্থানীয়দের। আর সবশেষ অভিযোগ উঠেছে, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ৬নং বড়ধ‚ল ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে অথচ ইউপি সচিব বলছেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত এলাকা বড়ধুল ইউনিয়নে সহজ-সরল মানুষের বাস। তাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধূ লোকজন সরকারি সহায়তা পাইয়ে দেবার কথা বলে বাড়তি টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার জন্ম-মুত্যু সনদ তুলতেও গুণতে হয় বাড়তি টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুছ আলী, আবু তালেব, জাহিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল কায়ম মন্ডল, আলমাছ মোল্লা, ফারুক সরকার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি সেবাসহ তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির জন্য জন্মসনদ তুলতে গেলে, তাদেরকে জানানো হয় বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধ না করলে জন্মসনদ মিলবেনা। একই সাথে জন্মসনদ তুলতেও সরকারি ফির বাইরে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। আর জন্মসনদ মিলেছে দীর্ঘ সময় পর। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ ইউনিয়নটি পরিষদ চরাঞ্চলে হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মকর্তাই ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করেন না, মুল ইউনিয়ন পরিষদের ঘর আসবাব পত্র পরিত্যক্ত রেখে কার্যক্রম চালান বেলকুচি পৌরসভা এলাকার মুকুন্দগাতী বাসস্ট্যান্ডের পাশে ভাড়া বাসায়। যা প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর। এলাকাটি চরাঞ্চল হওয়ায় মেঠো পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে সেবা নিতে আসতে হয় ইউনিয়ন পরিষদের জনসাধারণকে।
অভিযোগ বিষয় ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে সচিব কাউছার আহম্মেদ মুঠো ফোনে প্রতিবেদককে জানান, সরকারি ফির বাইরে কোন বাড়তি ফি নেয়ার সুযোগ নেই। গত বেশ কিছুদিন ধরে সচিব থাকার কারনে নানা অনিয়ম করলেও এবারই সচিবের অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে স্থানীয় মানুষ। আর স্থানীয় মানুষেরা জানান, অনিয়মের পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে কিছু অসাধূ ইউপি সদস্যরাও যুক্ত। তাই সরকারি সহায়তা ও সেবা পেতে এবং ভোগান্তি থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন