শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

লৌহজংয়ে আলুক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গত বছর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে আলুতে লোকসানের পর এবার লাভের আাশায় আলু রোপন করেছে এ উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এ উপজেলায় ৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে আবাদি জমিতে আলু সরিষা বাদামসহ বিভিন্ন রবি ফসলের আবাদ হয়ে থাকে। উপজেলা জুড়ে আগামী মার্চের শুরু থেকে চলতি মৌসুমের আলু উত্তোলন শুরু করবে কৃষকরা। এ বছর জমি থেকে বর্ষার পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়। তাই প্রান্তিক চাষিরা আলুর নায্য মূল্য নিয়ে খুব চিন্তিত দেখা যাবে এবছর তাদের ভাগ্যে কি রয়েছে। গত বছর লোকসানের কবলে পরে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়া কৃষকরা গজিয়ে উঠা আলু গাছের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পরিচর্যার অন্যতম দিকগুলো হচ্ছে জমিতে গজিয়ে উঠা আলু গাছে ক্ষতিকারক পোকা মাকর ও বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস থেকে ওষুদ প্রয়োগ করে ফসলকে রক্ষা করা ও যে সকল জমিতে আলু গাছ গজিয়ে উঠছে ধীর গতিতে সে সকল জমিতে দ্রæত গাছ গজিয়ে উঠার জন্য দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ওষুদ ও ইঞ্জিন চালিত পাম্প মেশিন দিয়ে ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে পানি, আবার কোথাও আলু জমিতে থাকা আগাছা পরিস্কার করছে কৃষকরা। এতো কষ্টের পরও তাদের একটাই আশা ভালো ফলন ও লোকসানের কবল থেকে উঠে আসা।
গাঁওদিয়া ইউনিয়নের আলু চাষি কার্তিক দাস জানান, এ বছর তিনি ১০ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। গত বছর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তার পুনরায় ৭ একর জমিতে আলু রোপণ করতে হয়েছিল। গত বছর আলুতে লোকসানের পরেও এ বছর লাভের আসায় আবার আলুর আবাদ করেছে বলে তিনি জানান।
আলুচাষি সজিব হোসেন জানান, বর্ষার পানি আটকে থাকার কারনে এবার আলুচাষে দুই মাস দেরি হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে যানা যায় ৩,১৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছর এ সময় হাটবাজারগুলোতে আগাম আলু উঠে। কিন্তু এবার জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়। আলু উত্তোলন শুরু হবে তবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে আলু উত্তোলন শুরু হবে বলে আসা করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বাজারে আগাম জাতের আলু পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শরীফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় আলু চাষে ৩ হাজার ৩শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো। এবার সরিষার আবাদ বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তাই এবছর ৩,১৫০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। এই এলাকার মাটি আলু চাষের উপযোগী। তাই আলু চাষে ব্যাপক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ এবং সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন