নগরীর হালিশহরে লাইনচ্যুত ওয়াগন থেকে পড়া ৬০ হাজার লিটার ডিজেল পাশের মহেশখালে ছড়িয়ে পড়েছে। খাল হয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। তাতে দূষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদফতরের দুটি দল মহেশখালের বন্ধ থাকা সøুইস গেটের দুই পাশ থেকেই পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে। তারা নদীর পানিতেও খালি চোখে কিছু তেলের উপস্থিতি দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের সময় মহেশখাল হয়ে ডিজেল নদীতে চলে যাচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর হালিশহর এলাকার রেলওয়ে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় একটি ট্রেনের তেলবাহী তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। সেগুলোতে ডিজেল ছিল। ওই তিনটি ওয়াগনের মধ্যে দুটি থেকে তেল বাইরে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা। প্রতিটি ওয়াগনে ৩০ হাজার লিটার করে ডিজেল ছিল। সেই হিসাবে ৬০ হাজার লিটার ডিজেল পড়ে গেছে। যদিও রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, কী পরিমান তেল পড়েছে তা হিসাব করে বলতে হবে। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিজিপিওয়াই এলাকায় লাইনচ্যুত ওয়াগন লাইনে তোলার কাজ চলছিল।
ইয়ার্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি রেল লাইন। যে লাইন থেকে ওয়াগনবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় তার পাশেই ইয়ার্ডের পাকা নালা। তেল সরাসরি ওই নালায় গিয়ে পড়েছে। এই নালাটির ৩০ গজের মধ্যে মহেশখালের শাখা। ওই শাখাটি বেসরকারি ইসহাকের ডিপোর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে পড়েছে। সে খাল থেকে লোকজনকে ফোম-বালতি নিয়ে তেল আহরণ করতে দেখা গেছে। ড্রামে ভরে জ্বালানি তেল বিক্রির খোলা দোকানগুলোতে সেগুলো বিক্রিও করা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে (ডিটিও) প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন