রাউজান হলদিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসাটি এলমে দ্বীনের আলো জ্বালাচ্ছে ১৯৭৭ সাল থেকে। অজপাড়া গায়ের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থী মিলে প্রায় ৬শ’ ওপরে ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। বিগত ২৩ বছরেও নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি সরকারের তরফ থেকে। তবে সে হিসাবে শ্রেণি কক্ষ অপ্রতুল। এলাকার সূফি সাধক হযরত সৈয়দ পীর আবদুল গফুর মাস্টার শাহ (রহ.) ১৯৭৭ সালে গ্রাম পর্যায়ে এলমে দ্বীনসহ নানাবিদ শিক্ষার আলো জ্বালানোর নিয়তে এ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেড়া ও মাঠির কক্ষ দিয়ে চালু করা এ মাদরাসাটি পর্যায়ক্রমে স্থানীয়দের দানে প্রথমে মাঠের পূর্ব পাশে একটি সেমি পাকাতে উন্নীত হয়। পরবর্তি প্রবাসীদের সহযোগিতায় সেটি দোতলা করা হয়। সেখানে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। ২০০ সালের ২ নভেম্বর বর্তমান রাউজানের সংসদ সংদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় একতলা একটি ভবন উদ্বোধণ করেন তৎকালীন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।
মাদরাসা অধ্যক্ষ আল্লামা আবু তৈয়ব হামিদী জানান, বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, হেফজখানা চালু হয়েছে, নূরানী বিভাগ চালু রয়েছে, এতিম ছাত্রদের থাকা খাওয়া বরণ পোষণ, পুরুষ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি, নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, তবে শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণী কক্ষ অপ্রতুল। তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে শিক্ষার্থীরা আধুনিক পদ্ধতিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
তিনি আরো জানান, আমি এই মাদরাসায় যোগদানের আগে থেকেও অত্র মাদরাসায় একটি ৪ তালা আইসিটি ভবন নির্মানের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর। অনেক বছর ধরে সরকারীভাবে আর কোন ভবন পায়নি অত্র মাদরাসা। অধ্যক্ষ জানান, আমার বাড়ি রাউজান না হলেও আমি শুনেছি এবং দেখেছি রাউজানের এমপি সাহেবের কাজের প্রতি আন্তরিকতা। আশা রাখি এমপি সাহেবের সহযোগিতায় সরকার আমাদের মাদরাসায় একটি ৪ তালা আইসিটি ভবনের জন্য বরাদ্ব দেবেন।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে মাদরাসার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আলহাজ আবু নাছের চৌধুরী (দুলাল) এর নেতৃত্তে সর্বমহলের সহযোগিতায় দৃষ্টিনন্দন একটি একতালা ভবন নির্মাণ করা হয়। সে ভবনের দু’তালা ভবনটির কাজ সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসেন সে মাদরাসার ছাত্র প্রবাসী আলহাজ মাওলানা ওসমান তালুকদার। সেটির কাজ সম্পন্ন হওয়ায় মাদরাসাটি মোটামোটি নতুন সাজে রুপ নিয়েছে। রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সহযোগিতা মাঠের পশ্চিম উত্তরে একটি একতালা এতিমখানা ভবন নির্মাণ করা হয়। এসবের পরও হেফজখানা, এতিমখানার শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে লেখাপড়া ও রাত যাপন করতে হয়।
গভর্নিং বডির সদস্য আ.লীগ নেতা এসএম বাবর বলেন, মাদরাসায় একটি ভবন অতি জরুরি। আমরা এমপি মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেছি, আশা রাখি অচিরেই আমরা ভবন পাবো। মাদরাসা গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহছান হাবিব ইনকিলাবকে বলেন, মাদরাসায় যেই হারে ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে আমাদের ভবন অবশ্যই প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রায় স্কুল কলেজ মাদরাসায় ভবন পেয়েছে আমরা পায়নি। এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাহেব লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেক আমূল পরিবর্তন এনেছেন রাউজানে। তিনি স্কুল কলেজ মাদরাসাগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করে পেলেছেন। আশারাখি এই মাদরাসার প্রতি তার সুদৃষ্টি থাকবে। ইনশাল্লাহ আমরাও একটি আইসিটি ভবন পাবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন