গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে কবর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার কবরসহ মরহুম নেছার উদ্দিন খন্দকারের ছেলে সেলিম খন্দকার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিকেল বাড়ি গ্রামের খন্দকার বাড়ি এ ঘটনা ঘটে। মরহুম নেছারউদ্দিন খন্দকারের নাতী মো. তরিকুল খন্দকার বলেন, আমরা বাড়ি না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের একই গ্রামের পশ্চিম পাশের বাড়ির উচ্ছৃঙ্খল আলম খন্দকার, আবুল কালাম খন্দকার, মিন্টু খন্দকার এবং তাদের দল বল নিয়ে এসে হঠাৎ করে আমার দাদা নেছারউদ্দিন খন্দকার ও আমার দাদি মরহুম সামচুনন্নাহারের পাকা কবরের ওপরে হামলা চালিয়ে কবর দু’টি ভাঙচুর করে বাড়ির মহিলাদের খুন জখমের হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার সকালে আমার চাচা সেলিম খন্দকার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন। মো. সেলিম খন্দকার, শাহিনুর বেগন, লাভলী বেগম ও আজগর খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, আলম খন্দকার, আবুল কালাম খন্দকার ও মিন্টু খন্দকার এলাকার গোঁয়ারগোবিন্দ ও লাঠিয়াল বাহিনীর লোক, এরা সমাজে বিচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের অত্যাচারে এলাকার হিন্দু-মুসলিম অতিষ্ঠ। তারা দলবদ্ধ হয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা- বাবার কবর ভাঙচুর করে। আমরা এদের শাস্তির দাবি জানাই। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে তাদের ৭ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে কবর ভাঙচুর করার কথা স্বীকার করে আলম খন্দকার বলেন, আমাদের জায়গায় কবর পরেছে তাই আমরা কবর ভেঙে ফেলেছি। সিহাব খন্দকার বলেন, সেলিম ভাই একদিন আমাকে বলে আমি আমার মা বাবার কবর পাকা করতে চাই, এসময় আমি তাকে সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা পরিমাপ করে কবর পাকাকরার কথা বলি কিন্তু সে পরিমাপ না করে জোর করে আলম খন্দকারের জায়গায় কবর পাকাকরণ করায় তারা কবর দুটি ভাঙচুর করেছে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান জানান, কবর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন