ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রকৃত ইসলাম ধর্ম প্রচারের সর্বস্তরের মধ্যে কওমি মাদরাসা অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী এই জন্য কওমি মাদরাসার সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর আলিয়া মাদরাসা যেটা আছে, সেটা তো সরকারিভাবেই চলছে। তিনি শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরের বাহাদুরপুর ময়দানে ৭৮তম বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বেদাতকে দূর করে দিয়ে শরীয়ত সম্মত কাজের জন্য আল্লাহপাক পাঠিয়েছেন হাজী শরিয়ত উল্লালকে (রহ)। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার আগমনে জগত আলোকিত হয়েছে, দূর হয়েছে অন্ধকার। এমন মানুষের আবারও দরকার। তাহলে ধর্মের নামে কেউ মূর্খতা ছড়াতে পারবে না।’
বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রদূত, শাইখুল ইসলাম হযরত হাজী শরীয়াতুল্লাহ আলাইহের স্মৃতি বিজড়িত বাহাদুরপুর ময়দানে মাহফিলের শেষ দিন গত শুক্রবার লাখো মুসল্লীর সমাবেশ ঘটে। জুমার নামাজের জামাতে আস্তানার কয়েক কিলোমিটার জুড়ে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসল্লী অংশ নেন। মাহফিল পরিচালনা করেন হাজী শরিয়ত উল্লাহ (রহ.) এর সপ্তম পুরুষ, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ মাওলান আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান পীর সাহেব।
এছাড়াও মুসল্লীদের ভীড় মাঠ পেরিয়ে আশেপাশের ঘর-বাড়ি রাস্তা ঘাট এমন কি বাজারসহ সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতে দেশ-জাতীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হয়। দেশ-বিদেশের মুসল্লীরা জমায়েতে অংশ নিয়েছেন। জুমার নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আ. লতিফ মোল্লা, মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ মো. শাজাহান মোল্লা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন