শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ডোমারে দেবরের ঘুষিতে ভাবী হাসপাতালে

ময়নুল হক, ডোমার (নীলফামারী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নীলফামারীর ডোমার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেবর দুলাল হোসেনসহ পরিবারের লোকজনের মারপিঠ, কিল-ঘুষির আঘাতে ভাবী নূর নাহার (৫০) গুরুতর আহত হয়ে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মাঝাপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে নুর নাহার বেগম বাদী হয়ে ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নূর নাহার ও তার স্বামী রফিকুল ইসলামের সাথে দুলাল হোসেনের দীর্ঘদিন হতে পারিবারিক সমস্যা ঝগড়া দ্বন্দ চলে আসছে।
এ বিষয়ে নূর নাহার দম্পতি দেবর দুলালের বিরুদ্ধে মসজিদে গিয়ে দশ সমাজের কাছে বিচার দেন। সমাজের কিছু ব্যক্তি ও দুলালসহ পরিবারের লোক জন আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে নুর নাহারসহ তার স্বামীকে ডাকে। উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাজের লোকজন বসে তাদের সমস্যার কথা শুনার একপর্যায়ে দুলাল ও নূর নাহার পরিবারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এতে করে দুলালের পরিবারের লোকজনের মারপিট, কিলঘুষির আঘাতে নূর নাহার বেগম গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় নূর নাহার বেগমকে পরিবারের লোকজন ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। ৫ দিন মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে একটু সুস্থ হলে বাড়িতে আসেন।
বাড়িতে আসার একদিন পর আবার অসুস্থ হলে গত মঙ্গলবার রাতে তাকে মেডিকেল ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তিনি ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি ও চিকিৎসাধীন। নুর নাহার বেগম বিবাদী দুলাল হোসেনের আপন বড় ভাই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। এবিষয়ে জানতে দুলালের বাড়িতে গেলে কেউ না থাকায় তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল নুর নাহার বেগমের বড় মেয়ে রোজিনা আক্তার জানান, বাড়িতে আমার মা একাই থাকে। বাবা সংসারের অভাব অনটনের কারণে মাঝে মধ্যে ঢাকায় থাকেন। এক দুই মাস পরে বাড়িতে আসতেন। দু’চার দিন থেকে আবার চলেন যেতেন। মা বাড়িতে একা থাকায় আমার চাচা দুলাল হোসেন ও চাচি কারণে অকারণে বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতেন। আমার চাচা আমার মাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছেন। এর আগে চাচার সাথে এলাকার কিছু ব্যক্তি যোগসাজগে আমাদের চলাচলের রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমাদের বাড়িতে রাতের আধারে কে বা কারা রেলের পাথর ছুরে। মা সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকে। আমার একটি মাত্র ভাই সেও ঢাকায় থাকে। আমি তদন্ত সাপেক্ষে আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে ডোমার থানা ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন