কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দৌলতপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে গরুর ঘাসক্ষেতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষযুক্ত ঘাস খেয়ে ছয়টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফার্মের মালিক টিয়া মিয়া। উপজেলার গুরই ইউনিয়নের খামার মালিক টিয়া মিয়া বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে পাশের বাড়ির হাসান মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগেও হাসান বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে জান-মালের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। আমার খামারে ছোট-বড় মিলে ১৮টি গরু ছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় আমার ছেলে শহিদুল্লাহ জমির ঘাস কেটে এনে গরুগুলোকে খাওয়ানোর পরে মুখ দিয়ে লালা বেরুতে থাকে। সাথে সাথে ছয়টি গরুর মৃত্যু হয়। দ্রুত চিকিৎসার কারণে বাকি গরুগুলো কোনো রকমে বেঁচে যায়। পরে জানতে পারি হাসান ও তার ভাই সেলিম ঘাস ক্ষেতে বিষ ছিটিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পশু কর্মকর্তা এবং থানায় বিষয়টি অবহিত করলে প্রসাশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা সরেজমিন আসেন। এতে আমার ছয় লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। হাসান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে আমি ও আমার ভাই জড়িত নই। জমি সংক্রান্ত ঝামেলার প্রতিশোধ নিতেই এ মিথ্যা মামলা দিয়েছেন তারা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে সালিস বৈঠকও করেছি। হাসানের এই চাচাতো ভাই জমিটা বিক্রি করেছিলেন টিয়া মিয়ার কাছে। কাগজপত্রে হাসান আলী জমি পেয়ে যান। হাসানকে ফাঁসানোর লক্ষ্যে অন্য কেউ এ জঘন্য কাজটি করে থাকতে পারে।
নিকলী থানার ওসি মুনসুর আলী আরিফ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। জড়িত থাকার অভিযোগে সুনির্দিষ্ট দু’জনের নামে টিয়া মিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিকলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু হানিফ বলেন, মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। টেস্টের জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেবো। তবে প্রথম অবস্থায় পয়জনিং কেস বলে মনে হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন