মোবাইলে পরিচয় ও প্রেম। অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে ডেকে এনে গণধর্ষনের ঘটনায় পলাতক প্রধান আসামি মো. তামিম হোসেন (১৯) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে এক বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তামিমকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প ও সদর কোম্পানি, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি যৌথ আভিযানিক দল রোববার গভীর রাত ১টার দিকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী মাহানগর-এর কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়িয়া এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মামলার প্রধান পলাতক আসামি মো. তামিম (১৯) হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তামিম নাটোর সদর থানার চাঁনপুর পাবনাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। অভিযান পরিচালনা করেন কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও সদর কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার সরকার এবং কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত তামিম হোসেন ১ বছর পূর্বে ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর সাথে মোবাইলে পরিচয় হওয়ার পরে প্রেম করে। এরই ফলশ্রুতিতে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি নাটোর সদরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের চাঁনপুরে ডেকে নিয়ে আসে। চাঁনপুর বিলের ভেতরে একটা কলাবাগানে নিয়ে তাকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টার দিকে তাকে আব্দুল মজিদের হাতে তুলে দেয়। সেও ঐ স্কুলছাত্রীকে একটা বাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাজশাহীগামী বাসে ওঠার উদ্দেশ্যে বনবেলঘোরিয়ায় আসলে তার পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে। এই মামলার প্রধান আসামি তামিম হোসেন পলাতক ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন