মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক কৃষক। এ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভূট্টার চাষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পদ্মা অধ্যূষিত এ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আজিমনগর, সুতালড়ী ও লেছড়াগঞ্জ এই তিন ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি ভুট্টার চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২৩৮০ হেক্টর জমিতে ১৩টি জাতের ভূট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে ৩৩৪০ হেক্টর জমি। এর মধ্য চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নেই আবাদ হয়েছে প্রায় ২০০৮ হেক্টর জমিতে। চরাঞ্চলে সাধারণত বেলে ও দোআঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় এবং রাসায়নিক সার কম লাগার কারণে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষে খরচের পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে বর্তমানে ভুট্টার আবাদ অনেকটাই বেশি হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভুট্টার ফলন ভাল হবে এবং লাভবান হবেন বলেও ধারণা করছেন কৃষকেরা।
আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন জানান, ‘আমি ২৬ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত গাছগুলো বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া যদি ঠিক থাকে এবং ঝড় বৃষ্টিতে গাছের ক্ষতি না হয়, তাহলে আশা করছি বিঘা প্রতি কমপক্ষে ৫০ মন করে ফলন পাওয়া যাবে।’
লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পাটগ্রাম এলাকার মো. মজিবুর রহমান জানান, ‘আমি ৫০ বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি। যে হারে আবাদ ভাল হয়েছে, তাতে আশা করছি ফলন ভাল পাব।’
লেছড়াগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘আমাদের চরাঞ্চলে এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। আমি নিজেও ৫ লাখ টাকা খরচ করে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে ভূট্টার চাষ করেছি। আশা করছি প্রায় এক হাজার মণ ভূট্টা পাব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর ভূট্টার চাষ অনেকটাই বেড়েছে। এর কারণ হলো অল্প খরচে অধিক লাভ। উৎপাদন খরচের তুলনায় বর্তমানে ভুট্টা অধিক লাভজনক। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ভূট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ভুট্টা চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন