বঙ্গোপসাগরে একটি মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ৯ জেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকাতরা। জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৯ জেলে। ট্রলারে থাকা কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। গত শনিবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার বিকেলে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য জানান।
র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ জানান, সাগরে ডাকাতদের আক্রমণের কোনো খবর এখন পর্যন্ত তারা পাননি। তবে মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ-খবর নিচ্ছি বলে জানান। ডাকাতের হামলার শিকার জেলেরা হলেন- মো. মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রায়হান, আ. করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হক।
নিখোঁজ ৯ জেলে হলেন- কাইউম জোমাদ্দার (৩৫) , ইয়াছিন জোমাদ্দার (৩২), আবুল কালাম (৫৮), শফিকুল মাঝি (৩৫), খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল আলীম (৫৫), ফরিদ (৩৮), আবদুল হাই (৪০)-সহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন জেলে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বরগুনার চরকগাছিয়া গ্রামের মনির হোসেনের এফবি ভাই ভাই মাছধরা ট্রলার নিয়ে রওনা হয় ১৯ জেলে। শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পায়রা বন্দর বয়া এলাকায় পেছন থেকে ডাকাতদের একটি ট্রলার ধাক্কা দেয়।
এ সময় ওই ট্রলার থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে ট্রলারে উঠে জেলেদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ডাকাতরা। ডাকাতদের হামলার শিকার হয়ে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়। ট্রলার মালিক মনির হোসেন বলেন, ৯ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি ৯ জেলে গুরুতর জখম থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনতে অন্য একটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন