মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে চোর ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে চুরি ও ছিনতাই এখন নিত্যদিনের ঘটনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতাল দেশের বড় হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি। ৭৫০ বেডের এই হাসপাতালে কমপক্ষে ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শত শত রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি চোর ও ছিনতাইকারী চক্র। প্রায় প্রতিদিন এই চক্রটি নিরীহ রোগীদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ সর্বস্ব লুট করে নিচ্ছে। বহির্বিভাগসহ ভর্তিকৃত রোগীরাও এই চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগী সুমাইয়া বেগমের ৩ হাজার টাকা ও একটি স্যামসং মোবাইল ছিনতাইকালে রোগীদের লোকজন মো. আলম (৩০) নামে এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। আলম এ উপজেলার গোড়াইল গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের পুত্র। হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বেঁধে রাখার পর পুলিশে সোপর্দ করেন। গত ২৩ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকেই রোগী সুমাইয়ার ১৮ হাজার টাকা ও একটি দামি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়ে যায়। একই ওয়ার্ডের অপর এক রোগীরও ৬ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শুধু রোগীদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার বা মোবাইল ফোন চুরি হয় না। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মোবাইল ফোন ও জিনিসপত্রও চুরি হয়ে থাকে বলে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মির্জাপুর কুমুদিনী হাপাতালের সহকারী প্রশাসক সৈয়দ হায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিজিটিং আওয়ারে রোগীদের আত্মীয় সেজে চোর ও ছিনতাইকারীরা ভেতরে ঢুকে রোগীদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাই করে। এ বিষয়ে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা হয় বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতাল এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন চোর ও ছিনতাইকারীকে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন