বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী দিনে আমরা বিজয়ী হব। যেসব পত্রপত্রিকা আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে বন্ধ করেছে। সব পত্রিকা খুলে দেওয়া হবে। যেসব টিভি চ্যানেল বন্ধ করেছেন সেগুলো খুলে যাবে, ইনশাল্লাহ।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবিতে পেশাজীবী পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নজরুল বলেন, গেল কয়েকটি উপনির্বাচনে সরকার থেকে বলা হয়েছে ভোট পড়েছে ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ কিন্তু বাস্তবচিত্র হচ্ছে ১০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যায়নি। নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীরাই ভোট দিতে যায়নি। কারন সারাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে , ভোট দেয়া না দেয়া একই কথা।
তিনি বলেন, এদেশে ৭৫ সালে যারা একদলীয় শাসন, একদলীয় স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। সেই সরকারের একজন মন্ত্রীর গলা উঁচু করে বলতেছেন, না না। একদল না। আমরা সব দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করেছিলাম। সেই সময় বাংলাদেশের আর কি কোনো রাজনৈতিক দল ছিল? প্রশ্ন রাখেন নজরুল ইসলাম। আর কোন দল ছিল না, হয় বাকশাল না হয নকশাল করেছিল। গেল ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সেটার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বহু রাজনৈতিক দল আছে কিন্তু তাদের কার্যক্রম করতে দেয়া হয় না।
নজরুল খান বলেন, চাটার দল সব খায়, যিনি বলেছিলেন তিনিতো আর নেই। কিন্তু চাটার দলতো রয়েছে। যেখানে যা পায় তারা সব খায়, কাবিখা , গরিব মানুষের ভাতা, শেয়ার মার্কেট খেয়েছে, ব্যাংক খেয়েছে । এখন বাংলাদেশ ব্যাংকও খাচ্ছে।
বিএনপির নেতা বলেন, এদেশের মানুষ আর এখন ভয় পায় না। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ বইয়ে লেখেন সমাজতন্ত্র, কায়েম করবেন আর চর্চা করেন স্বৈরতন্ত্রের। বইতে লিখে রাখবেন রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, চর্চা করবেন ধর্মনিরপেক্ষতা। এগুলো আপনাদের তামাশা। আপনার যে সংবিধান নিয়ে তামাশা করেন। সে সংবিধান দোহাই দিয়ে কি আপনারা জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করতে চান! অসম্ভব, কেউ পারেনি, আপনারা পারবেন না। ইনশাআল্লাহ , আগামী দিনে আমরা বিজয়ী হব। যেসব পত্রপত্রিকা আপনারা অন্যভাবে বন্ধ করেছেন। সব পত্রিকা খুলে দেওয়া হবে। যেসব টিভি চ্যানেল বন্ধ করেছেন সেগুলো খুলে যাবে। ইনশাল্লাহ
ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, সাগর রুনি হত্যার পর ৫০ জন সাংবাদিককে হত্যার করা হয়েছে। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মামলা দিয়ে দেশের বাহিরে থাকতে বাধ্য করেছে সরকার। এই আওয়ামী লীগ একেক বার একেক চেতনার কথা বলে। কখনো বলে ভাষার চেতনার কথা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কথা। আওয়ামী লীগ আইনের শাসনের কথা বলেলেও তারা তাতে বিশ্বাসী না। আমরা এ সমাবেশে যারা বসে আছি। কেউ নিরাপদ না। যেমন নিরাপদ ছিলেন না কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী, মাহমুদুর রহমান, আমার দেশ। মিডিয়ার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যদি সত্য প্রকাশ করেন । তবেই আপনাদের পাশে জনগণ থাকবে। কারণ কে কখন বন্ধ হয় , সে বিষয়ে কেউ জানে না। যেমন দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এ সরকারের গ্রাসের মুখে পড়ে আজ বন্ধ।
পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও আহব্বায়ক ডাক্তার জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়াপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ সিরাজউদ্দিন আহমেদ, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাংবাদিক নেতা এম এ আজিজ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, বাছির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন