ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ইয়াছিন আরাফাত আবিদ (২১) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল রিপোর্টের পর রাতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। আবিদ জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার ট্যাংকেরপাড় এলাকার হেলাল মিয়ার ছেলে। আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান জানান, উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাশের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে ইয়াছিন আরাফাত আবিদ নামের ওই যুবকের লাশ মেলে। হাসপাতালে লাশের সাথে তৃষা নামের এক তরুণী ছিল। সে প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশকে জানায়, আবিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার তারা পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে পরিচিত এক বাসায় আশ্রয়ে ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালের পর তৃষা টয়লেট থেকে এসে দেখে আবিদ আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে। তৃষাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। তবে আবিদের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আবিদ গত বুধবার সকালে জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া যায় আশুগঞ্জে একটি হাসপাতালে আবিদ মারা গেছে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আবিদের লাশের পাশে একটি মেয়ে বসা। মেয়েটি জানায় সে আবিদের স্ত্রী এবং মৃত অবস্থায় আবিদের লাশ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। সে আরও জানায়, আবিদ ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটির কথা অনুযায়ী আমরা যে বাসায় তারা ছিল সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ফাঁসিতে ঝুলানোর মতো ঘরে কিছুই নেই, শুধু দু’টি জানালা ছিল। সেখানে আমরা জানতে পেরেছি, আরাফাতের বন্ধু সৌদি প্রবাসী আশুগঞ্জের লালপুর এলাকার নোমানের পরামর্শে ওই তরুণীসহ শরীফপুর এলাকার ইয়াছিন আরফাতকে সাথে নিয়ে আশুগঞ্জে হযরতের বাড়িতে উঠেছিল। আমরা ধারণা করছি আবিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন