মাদক ব্যবসা ছেড়েও কি ভালো থাকতে পারবো না? সব ছেড়ে এখন গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাচ্ছি। আজ ৪ বছর ধরে বরিশালে পরিবার নিয়ে থাকছি। স্ত্রী ৯ মাসের অন্তসত্বা। অনাগত সন্তান জন্মের পর যেন জানতে না পারে তার পিতা একজন মাদক ব্যবসায়ী। সমাজের অন্যান্যে মানুষের মতো বাঁচতে চাই। তাকে ও স্ত্রীকে যেন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ফাঁসানো না হয়। মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা মাথায় নিয়ে ৭ বছর বয়সি ছেলে ও অন্তসত্বা স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সরকারের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর বাজারে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুনপাড়া মাল্লাপট্টি ব্রিজ এলাকার মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
সাংবাদিক সম্মেলনে মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন বলেন, রাজবাড়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর দৌলতদিয়া পুড়াভিটা এলাকার মোছা. পারভীন আক্তারকে ২শ’ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেন। ওই মামলায় পারভীনসহ তাদের স্বামী-স্ত্রীকে জড়িয়ে গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে তাদের যেন হয়রানী না করা হয় এবং সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, তিনি ২০১৮ সালে একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে বরিশাল জেলায় চলে যান। সেখানে পরিবারসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে একটি প্রাইভেটকার ক্রয় করে নিজে চালক হিসাবে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ী জেলায় যাতায়াত না থাকলেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন বর্তমানে ৯ মাসের অন্তসত্বা। এ সব মামলার কারণে ছেলেকেও স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। তার দাবি আমি কি ভালো হতে পারবো না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও মুক্তা খাতুনের মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
রাজবাড়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খান বলেন, জাহাঙ্গীর হাওলাদারের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। হেরোইনের মামলাটি রাজবাড়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তদন্ত করছেন। সে যদি নিরপরাধ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে চার্জশির্ট যাবে না। যদি তদন্তে অপরাধী হয় তাহলে তাকে অপরাধের দায় বহন করতে হবে। আমরা চাই কেউ যেন বিনা অপরাধে সাজা ভোগ না করুক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন