চট্টগ্রামের হাটহাজারী সড়কে যানজটের আতঙ্ক এখন অবৈধ যান নসিমন-করিমন। অবৈধভাবে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিনের নসিমন-করিমন নামের মালবাহী গাড়ি। ধানের জমিতে চাষাবাদ কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টরগুলো এখন চলাচল করছে হাটহাজারী নাজিরহাট রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কে। হাটাজারী সড়কে নসিমন করিমনগুলোর কারণে এখন প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর দুর্ঘটনা। চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কে এখন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে নসিমন করিমন। এসব নসিমন করিমন ড্রাইভিং করে সাধারণত কৃষকরা তাদের ধানি জমিতে। কিন্তু এখন রাস্তার রাজা হিসেবে পরিণত হয়েছে। নেই নসিমনগুলোর বৈধ কাগজপত্র নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন দিয়ে এই নসিমন তৈরি করার ফলে সড়কের কোন নিয়ম-নীতি না মেনে ইচ্ছামত চালানোর ফলে প্রতিমুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে এসব অবৈধ যানগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধানী জমির চাষাবাদে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার দিয়ে গাড়ি কিভাবে রাস্তায় চলাচল করে তা সচেতন মহলের প্রশ্ন। হাল চাষের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর পাওয়ার টিলারগুলো চট্টগ্রাম হাটহাজারী মহাসড়কসহ গ্রাম অঞ্চলে রাস্তাঘাটেও চলাচল করে থাকে। রাতের অন্ধকারে চলাচল করে লাগাম বিহীন। যার কারণে সিএনজিগুলোসহ অন্যান্য যানবাহনের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। হাটহাজারী সড়কে রয়েছে গহিরা হাইওয়ে পুলিশ, তাদের দায়িত্ব এ ধরনের নসিমন-করিমনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। দীর্ঘদিন ধরে সড়কে এসব গাড়ি চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট, মন্দিরহাট, ইসলামীরহাট, আমানবাজার, নাজিরহাট, সরকারহাট, এনায়েতপুরসহ বিভিন্ন এলাকাতে এসব নসিমনগুলো ব্যাপক চলাচল নজরে পড়ছে। উপজেলার গ্রামাঞ্চলে নসিমন-করিমনগুলো চলাচলর ফলে এলাকার ব্রিকস সলিন ও কার্পেটিং করা সড়কগুলোর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ না মেনে অবৈধভাবে ব্যটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে উপজেলার অলিগলিসহ কাঁচা পাকা সড়কে। এসব রিকশাগুলোর কোন লাইসেন্স নাই। কিভাবে এসব রিকশা চলছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী ট্রাফিক পুলিশের টিআইও মুহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, এসব অবৈধ গাড়ির কোনো কাগজপত্র নেই। এসব অবৈধ গাড়িগুলোকে সড়কে চলাচলে আমার নিষেধ করেছি, বাধা দিচ্ছি, আটক করছি। তারপরও থামানো যাচ্ছে না। বিকল্প কোনো যান না পেয়ে দেশের মানুষ এসব অবৈধ যান ব্যাবহারে বাধ্য হচ্ছে। খুব দ্রুত এসব অবৈধ গাড়ি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন