কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কারপাশা ও সহরমূল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধ প্রায় ১৫ হাজার নারী পুরুষ প্রতিদিন হাট-বাজার, এমনকি হাওরে যাতায়াত করে এ আধেক ভাঙা মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা ইনকিলাবকে জানান, সহরমূল ও কারপাশা গ্রামের মধ্যে সংযোগ সেতুটি এলাকার মাঝামাঝি অবস্থানে। প্রায় তিন বছর আগে অতিবৃষ্টির ফলে রাতের বেলায় সেতুটির প্রায় আর্ধেক অংশ ধসে পড়ে। মানুষ পারাপারের জন্য সেতুর ভাঙা অংশে বাঁশ দিয়ে জোড়া লাগিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। নদীর উত্তর পাড়ে সহরমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন সেতুটির ভাঙা অংশের পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে সেতুসংলগ্ন বিদ্যালয় ভবনটিও হুমকির মুখে পড়েছে। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হয়ে হুমকির মুখে পড়া বিদ্যালয় ভবনে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্ক করছে অনেকেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন বলেন, স্কুল ভবনটি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পাড়াপার হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে। বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটিও চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।
নিকলী উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ভূঁইয়া জনি বলেন, খালের অংশের কাজ হলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এটা আমার কাজ নয়। তবুও আমি আমার অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমপি মহোদয়ও বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্কুল ও ব্রিজ উভয়ই ঝুঁকিপূর্ণ। কিশোরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বলেন, অচিরেই ওই এলাকার কাজটি ধরা হবে। প্রজেক্ট ফাইলও সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন