বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মহাদেবপুরে মাদকের ছোবলে বিপথগামী যুবসমাজ উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহাদেবপুর (নওগাঁ) উপজেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর মহাদেবপুর এখন মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। মাদকের এ স্বর্গরাজ্যে মাদক ব্যবসায়ী মাদক সেবীরা নির্ভয়ে চালাচ্ছেন তাদের মাদক মিশন। এ অভয়ারণ্যে যেন তাদের ধরাছোঁয়ার নেই কেউ। এ কারণে হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও চুয়ানীসহ নানান মাদক। কি শহর, কি গ্রাম সব জায়গার একই চিত্র। এ কারণে প্রায় পরিবারেই এক/দু’জন করে সদস্য কোন না কোন মাদকে আসক্ত অথবা ব্যবসায়ী হয়ে পড়েছে। যেখানে এক সময় হাতে গোনা ক’জন মাদক মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীর নাম উচ্চারিত হতো সেখানে এখন তাদের সংখ্যা অগণিত। এদের সংখ্যা কততে গিয়ে ঠেকেছে তা নিরুপণ করা কঠিন। মাদকের ভয়াল থাবায় বিপথে চলে যাচ্ছে কিশোর, তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ।  সেই সাথে নানান শ্রেণী-পেশার মানুষও মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ায় অভিভাবক ও সচেতন মহল চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। অভিভাবকদের এখন মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদরের সন্তানদের নিয়ে। মাদক যেখানে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে সেখানে সন্তানদের সুপথে রাখা তাদের জন্য রিতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকাসক্ত সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় থাকা একাধিক অভিভাবক জানান, সন্তানকে ভালো করতে পুলিশি নিরাপত্তা হেফাজতে রাখাসহ বিভিন্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েকজন অভিভাবক তাদের মাদকাসক্ত সন্তানকে থানা পুলিশে সোপর্দ করাসহ বিভিন্ন স্থানের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, এখানে ছোট-বড় মিলে মাদক ব্যবসায়ীই রয়েছে সহ¯্রাধিক। আর নানান মাদক সেবনকারীর সংখ্যা অর্ধ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। এদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, চাকরিজীবী, সমাজের উঁচুস্তরের নানান পেশার মানুষ, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান। সূত্রটি দাবি করে, এখানে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হয়। এসব মাদকদ্রব্য চোরাকারবারীরা ভারত থেকে চোরাইপথে সরাসরি নিয়ে এসে বড় বড় ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। ভারতীয় সীমান্ত পথ এখান থেকে নিকটে হওয়ায় এ কাজটি চোরাকারবারীদের জন্য করা খুবই সহজ। শুধু ভারত থেকেই নয় ইয়াবা এবং সেভেন ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সীমান্ত পথে বার্মা থেকেও এখানে আসে বলে জানা যায়। এদিকে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান প্রায়ই পরিচালিত হলেও আইনের ফাঁক-ফোঁকরে তারা বেরিয়ে এসে আবার পূর্বের মতই চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ সাবের রেজা আহমেদ জানান, মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারীদের কঠোর হাতে দমন করতে পুলিশ রাতদিন কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে এর সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন