পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে মরিচ গাছের ক্ষেতে আবর্জনা রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে জসিম হাওলাদার (৩০) নামে এক যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই গ্রামের মোঃ খলিল আকনের ছেলে শামীম আকন (২৮) এই মারধর করেন বলে জানান ভুক্তভোগী। এতে যুবক গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শেবাচীম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মির্জাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
আহত যুবক পার্শ^বর্তী কেওয়াবুনিয়া গ্রামের মৃত তাজেম আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি একজন রাজমিস্ত্রির হেলপার হিসেবে কাজ করেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জসিম হাওলাদারের মরিচ গাছের ক্ষেতের পাশে শামীম আকনের ফসলের ক্ষেত রয়েছে। শামীম আকনের ক্ষেতের বন-কুটো (আবর্জনা) পরিষ্কার করে উভয়ের ক্ষেতের মাঝখানে রাখলে শামীমের মা-বাবার সাথে জসিমের কথা কাটাকাটি হয়। তখন শামীম ঢাকায় ছিল। পরে শামীম ঢাকা থেকে এসে পূর্বের জের ধরে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জসিম তার (শামীম) বাড়ির সামনে দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় শামীম অতর্কিতভাবে গাব গাছের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায় এবং পা ও বুকের খাঁচায় মারাত্মক যখম হয়। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শামীম আকন মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, জসিম আগে আমার বাবা-মাকে লাঞ্ছিত করেছে। পরে আমি ঢাকা থেকে এসে ওকে জিজ্ঞেস করলে ও উল্টাপাল্টা কথা বলায় মারামারি হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, উভয়পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন