কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় পেলেই তাকে জেলখানাই যেতে হতো। তাদের নির্যাতন করা হতো। কত জুলুম অত্যাচার করা হতো তাদের। গত শনিবার বিকেলে মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেছেন।
কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, আমি প্রথম সংসদে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীর দাবি করেছিলাম। তখন অনেকেই আমার ওপর রাগ করেছিলেন। কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এই সম্মানী ৫০ হাজার টাকা হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এতো রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশে বাস করে যারা এখনও বলেন, পাকিস্তান আমলই ভালো ছিলো, তাদের পাকিস্তান চলে যাওয়া উচিত। এছাড়া তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকারও নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, কাদের সিদ্দিকীর এমপি মন্ত্রী হওয়া কোন ব্যাপার নয়, মানুষের পাশে থেকে পাহারা দেয়ার জন্য তিনি দল করেছেন এবং রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন। মির্জাপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সদস্য সাবেক ভিপি শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন তালুকদার তাপস প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন