বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সরিষার বাম্পার ফলনে চাষিদেও মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আল আমিন ম-ল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। চারদিকে সরিষার ক্ষেত যেন বাতাসে দুলছে। ফলে কৃষকের মুখে যেন হাসির ঝিলিক। সূত্র জানায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় কৃষকরা সরিষার চাষ করেছে। এবারে অভাবনীয় সাফল্যের আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। সরিষা ক্ষেতে চাষিদের চোখে মুখে সেই যেন আনন্দের হাসি। রামেশ্বরপুর আকন্দপাড়া গ্রামের সরিষা চাষি রবিউল ইসলাম জানান, এবারে ভালো ফলন হয়েছে। এটি আমার জমির দ্বিতীয় ফসল। এর আগে জমিতে অন্য ফসল ছিল। সরিষা উঠার পর ধান চাষ করব। রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের সাতচুয়া গ্রামের সরিষা চাষি আলমগীর হোসেন জানান, ৭৫ শতক জমিতে সরিষার চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনে ভালো লাভ হবে। তবে সরিষার ফলনে দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। কাগইলের আহম্মেদপুর গ্রামের কৃষক আজাহার আলী জানান, শীতে সরিষা চাষে কোন সমস্যা হয়নি। ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা উঠতে পারে। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার জানান, এ মৌসুমে উপজেলাতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫শত মেট্রিক টন। গত বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮শ হেক্টর জমিতে। ফলে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। তবে এ বছরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক ম-ল জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য এলাকার কৃষকরা সরিষার চাষে সফলতা পেয়েছেন। এজন্য কৃষকদের সবসময় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান জাহিদ ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা’র বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, সরিষা একটি লাভজনক ফসল। বেশি ভাগ ক্ষেত্রে সরিষা চাষ ঝুঁকিমুক্ত। তবে প্রতি বছরে উপজেলাতে সরিষার চাষ বাড়ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন