মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

অর্থ পাচার রোধ করা গেলে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন ছিল না: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:৫৪ পিএম

দেশ থেকে যে পরিমান অর্থ পাচার হচ্ছে তা রোধ করা গেলে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতিই দেশের অর্থনৈতিক বৈকল্যের কারন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আইএমএফ এর শর্তপূরণে জনগণকে যেন খেসারত দিতে না হয়। আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো দেশের প্রয়োজনে অনেক আগেই স্বউদ্যোগে বাস্তবায়ন করা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতসহ অন্যান্য সংস্কারগুলো আন্তরিকতার সাথে অবিলম্বে সম্পাদন ও বাস্তবায়ন আবশ্যক। কিন্তু অর্থনীতির বর্তমান দুঃসময়ে আইএমএফ এর শর্তগুলো পূরণে যেন নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট না হয়। আইএমএফ এর শর্ত পূরণে সারের পর তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামও বৃদ্ধি করায় মানুষের ভোগান্তি কতোটা বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। লক্ষ্য রাখতে হবে আইএমএফ এর সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে যেন মানুষের বঞ্চনা ও কষ্ট না বাড়ে। বিশেষ করে সার, খাদ্য ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিপরীতে ওভার নাইট ভর্তুকি কমিয়ে দিলে জনভোগান্তি বাড়বে। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর যেন করের বোঝা না বাড়ে। যারা কর দেয় তাদের উপর বোঝা না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, আজকের ডলার ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরীর প্রধান কারণ ঋণ করে কম প্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ। যার কিস্তি শোধ করতে গিয়ে এখন রিজার্ভে টান পড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ এর নামে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার মত দুর্নীতি করে লুট করা হয়েছে। দেশের গ্যাস উত্তোলন না করে এলএনজি ও কয়লা বেশি দামে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে। ঋণ খেলাপিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে চার লক্ষাধিক কোটি টাকা থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে। আইএমএফ যে পরিমাণ ঋণ দিচ্ছে তা প্রবাসীদের পাঠানো দুই মাসের আয়ের সমান। প্রতি বছর দেশ থেকে যে পরিমান ডলার পাচার হচ্ছে তা রোধ করা গেলে এই ঋণ নেয়ার কোন দরকারই হতো না।

দেশ মহা বিপর্যয়ে পড়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাওয়ার কোন লক্ষণ নেই বরং সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সবকটি সূচকই আরো দুর্বল ও প্রকট হয়ে উঠেছে। অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, নজিরবিহীন ডলার সংকট, ডলারের বিনিময়ে টাকার অভূতপূর্ব অবমূল্যায়ন, ব্যাংকিং ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা, অপরিণামদর্শী ভ্রান্ত নীতি, অদক্ষ ও দলকানা নীতি বৈষম্য, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, ঋণ প্রাপ্তির অপর্যাপ্ততা, সুশাসনের অভাব, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আয় বৈষম্য এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতা বর্তমান অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের মূল কারণ। সরকার অবশেষে বিরাজমান অর্থনৈতিক দুর্যোগের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠিন শর্তে আইএমএফ এর নিকট থেকে ঋণ নিচ্ছে। বলতে গেলে সরকার এখন ব্যাংক থেকে ধার করে এবং আইএমএফ এর ঋণের উপর ভর করেই চলছে।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার সাধন অত্যাবশ্যক। টেকসই অর্থনীতির প্রয়োজনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা দরকার। কর-শুল্ক, আর্থিক খাত, ব্যাংকিং সেক্টর, বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্য নীতির সংস্কার আবশ্যক। এজন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত আইনের শাসন এবং প্রকৃত অর্থেই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আশা করে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিকখাতে কার্যকর সংস্কার সাধনে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইএমএফ বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়াবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার গত একমাসে দুইবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। গত সাড়ে ১৩ বছরে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ৪০০%। বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে। অর্থাৎ, দাম বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এতে রপ্তানিমুখী শিল্প চ্যালেঞ্জে পড়েছে, অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ছোট ও মাঝারি শিল্প। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি উস্কে দেবে মূল্যস্ফীতি, জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, সরকার বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফ এর কাছ থেকে যে ঋণ নিচ্ছে তার শর্ত পূরণ করতে গিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বন্ধের অংশ হিসেবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সমন্বয়ের নামে রাতারাতি ভর্তুকি কমিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এত বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত বোঝাটা জনগণের উপর চাপানো হলো। প্রশ্ন হলো সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার দায় জনগণকে কেন বহন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আজ দুবেলা খেতে পারছে না। অথচ আওয়ামী লীগ একদিকে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে অন্যদিকে টাকা ছাপিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে। গত দুই মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে। তারা ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চালাচ্ছে। এটা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে এই দেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। একদিকে মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে, অন্যদিকে ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। ডলারের অভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। লুটপাটের কারণে প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর সরকারি হিসাব মতে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৩২.৫৭ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি ডলার। কিন্তু আইএমএফ এর হিসাবে এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার ব্যবহারযোগ্য নয় বিধায় রিজার্ভ দাড়ায় ২৪.৫৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৫৭ কোটি ডলারে। বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ দ্রুত কমে যাওয়ায় অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। রিজার্ভ একটু বাড়লে সরকার আত্মতুষ্টিতে নিয়ম-নীতি ভেঙে রিজার্ভের অর্থ বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ করা শুরু করে। অথচ ভুলে যাওয়া হয়েছে যে রিজার্ভের অর্থ বাজেটের কাজে লাগানো উচিত নয়। রিজার্ভ থেকে অনিয়মিতভাবে নানা নামে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ফেলেছে সরকার, এর মধ্যে ৭০০ কোটি ডলার বা ৭ বিলিয়ন দিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল ইডিএফ গঠন করে ওই টাকা ঋণের নামে সহজ সুদে দলীয় আশীর্বাদপুষ্টদের দেয়া হয়েছে যা আর কখনো আদায় করা যাবে না, বা আদায় হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিশ্চিন্ত মনে দলীয় ব্যবসায়ীদের ওভার ইনভয়েসিং করে আমদানির মাধ্যমে দেদারসে বিদেশে অর্থপাচারের সুযোগ করে দেয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থপাচার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রবাসী আয়ও কমে যেতে থাকে।

তিনি বলেন, এদিকে এখনও ভুয়া ইএক্সপি এবং এলসি বা সেলস কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করে গার্মেন্টস রফতানির আড়ালে বিদেশে মুদ্রা পাচার হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির মুখপাত্র আরও বলেন, কৃত্রিমভাবে টাকার শক্তিশালী অবস্থান দেখিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলছিল সরকার। কিন্তু সেই ভ্রান্ত মুদ্রানীতির অসারতা উগ্রভাবে উন্মোচিত হয়ে আজ দেশ চরম ডলার সংকটে নিপতিত হয়েছে। কয়দিন আগে কার্ব মার্কেটে টাকার মূল্য ৮৬ থেকে বেড়ে একবার ১১৯ টাকা দাড়ায়। এর আগে কখনোই টাকার ম‚ল্যবান এত হ্রাস পায়নি। কৃত্রিম উপায়ে ডলার রেট নিয়ন্ত্রণ না করে বাজার দরের ওপর ছেড়ে দিয়ে ক্রমাগতভাবে তা আস্তে আস্তে সার্বিক স্থানে স্থিত হলে আজকের এ সমস্যা হতো না।

মির্জা ফখরুল বলেন,একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলছে। বর্তমানে একরকম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এডিআর বা ঋণ আমানত অনুপাত সীমালংঘন করে অতিমাত্রায় ঋণ পাইয়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ গোষ্ঠীদের। ফলে তারল্য সংকটে পড়ে আমানত ফেরত দিতে না পারায় আমানতকারিদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আমানত উইথড্র করার হিড়িক পড়ে যায়। ব্যাংকিং সেক্টরে নৈরাজ্য ও মালিক পক্ষের দৌরাত্বের সাথে না পেরে উঠে সম্প্রতি বড় বড় ব্যাংকের এমডিদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। যা আমানতকারিদের মনে আরও আতংকের সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যাংক মালিক গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা নতুন কিছু নয় এর আগেও ব্যাংক ঋণের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। এই টাকা আর ফেরত আসবে না।
প্রতিবছর বর্তমানে কমপক্ষে দেড় লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হচ্ছে। এর মানে, বাংলাদেশ থেকে বছরে কমপক্ষে ১৫-১৬ বিলিয়ন ডলার পুঁজি এখন বিদেশে পাচার হচ্ছে, যার অর্ধেকের মতো পাচার হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এমনিতেই গত ৬ বছরে বিদেশী ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এক্ষণে চীন ও রাশিয়া থেকে নেয়া কঠিন শর্তের ঋণের গ্রেইস পিরিয়ড ২/৩ বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ২০২৪ সন থেকেই ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সে সময় পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, সরকার গত ১২ বছরে রাষ্ট্রের স্বার্থ বিকিয়ে গোষ্ঠী স্বার্থ চরিতার্থের হীন উদ্দেশ্যে নানা ধরনের আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার কুপ্রভাব এখন স্রেফ জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। গোড্ডায় আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে মনে হয় "বাংলাদেশ গাড্ডায় পড়েছে"। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও আদানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বছরে প্রায় সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে বাংলাদেশকে। আগামি ২৫ বছরে দিতে হবে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। দেশের পাইকারি বিদ্যুতের বাজার মূল্যের ৫ গুণেরও বেশি দামে আদানির বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। শেয়ার কারসাজির সাথে সাথে আদানি গ্রুপ কয়লার দামেও কারসাজি শুরু করেছে বলে জানা যায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট একটি জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। এই দুর্বিষহ জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে এই অবৈধ সরকারকে হটানোর জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবী আদায়ে দুর্বার গণ-আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পতন ঘটাতে হবে বর্তমান গণবিরোধী নিশিরাতের ভোটডাকাত সরকারের। প্রতিষ্ঠা করতে হবে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, যার অধীনে এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ সমগ্র জনগণ নির্ভীঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারেক রহমান ঘোষিত “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত” এর ২৭ দফা বাস্তবায়নে কাংখিত জাতীয় সরকার গঠন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আগামি দিনে দেশের চলমান আর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দুরীভুত করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohmmed Dolilur ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৪৬ পিএম says : 0
ঋনের টাকা না এলে চুরি করবে কি করে,বেচারা মন্ত্রী এম পি এদের আমোরিকা লন্ডনে বাড়ি করতে হবে,মন্ত্রী এমপি যদি ঠিক না থাকে এবং আমোরিকা লন্ডনে বাড়ি করতে না পারে,দলের প্রধান কি করে ক্ষমতায় থাকবে,আসলে সব সরকারের একই অবস্থা,কেউ কম কেউ বেশি,কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার অতিরিক্ত,উনাদের কথা হলো ঋন নিয়ে দেশে উন্নয়ন করে দেখামু আর আমরাও আমাদের কাজ সারমু জনগণ কি এত কি বুঝতে পারবে,এরা শুধু দেখবে মেট্রো রেলের বগি আর চার আট লেনের রাস্তা আর বড় বড় ব্রিজ,জনগণ আনন্দিত হবে,ঋন কি সেটি বুঝতে চেষ্টা করবে না,তাদের পরে যারা আসবে তারা কি ভাবে বাঁচবে অথবা তাদের মাথায় ঋনের বোঝা হয়েছে জনগণের সেই বিষয়ে দৃষ্টি নেই,কথা বলে কই মাছের তেল দিয়ে কই মাছ বোনা করা যায়,সরকার সেটি করছে একদিকে সরকার ঋনের বোঝা জনগণের মাথায় দিচ্ছে আর লুঠ পাঠ করে সব খাচ্ছে,কি করবেন কিছু করার নেই জনগণ বর্তমানে অন্ধ হয়ে গেছে,বোবা হয়ে গেছে,অন্যথায় জনগণ প্রতি বাদ করতেন যে জায়গায় আমাদের দেশে রেমিটেনস প্রবাসীরা মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা দিয়ে থাকেন সে গুলি দিয়েই সব কিছু করা যায়,ঋনের প্রয়োজন নেই,কিন্তু ঋন এক মাত্র বেবহার করছেন,সরকারের এক মাত্র মন্ত্রী এম পি দলীয় আমলার জন্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন