নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সার্ভিস বই ও রেকর্ডের মিল না থাকায় অবসরে যাওয়া রেলকর্মচারীরা পেনশন নিয়ে টেনশনে পড়েছেন। এতে করে রেলওয়ে কারখানার প্রায় ৩ হাজার পেনশনভোগী নারী-পুরুষ নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী টাকা পাচ্ছেন। ফলে এসব পরিবারের লোকজন দারুণ অর্থকষ্টে পড়েছে। উত্তরের সৈয়দপুরে ভৌগলিক কারণে ১৮৭ সালে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করা হয়। শুরুতে এই রেলওয়ে কারখানায় ১০ হাজারের মতো শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন। সেই থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কর্মস্থল থেকে অবসর গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলকারখানা থেকে স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্যতামূলকভাবে অবসর দেয়া হয় ৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। পরে আরও শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যান। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা প্রায় ৩ হাজার পেনশনভোগী রয়েছি। আমাদের পেনশন বই ও সার্ভিস রেকর্ডের কোনো গড়মিল নেই। কিন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বয়সের মিল না থাকায় আমাদের নতুন পে-স্কেলে টাকা দেয়া হচ্ছে না। জাতীয় পরিচয়পত্র ভুলের জন্য আমরা দায়ী নই, যারা ফরম পূরণ করেছেন তাদের ভুলের জন্যই এমনটি হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুর বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক আজিজুল ইসলাম জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সার্ভিস বইয়ে লিপিবদ্ধ বিবরণীর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিবরণীর হুবহু মিল থাকতে হবে। কিন্ত অধিকাংশ পেনশনভোগীরই গড়মিল রয়েছে। এটি সংশোধন করে আনলেই বকেয়াসহ তাদের পুরো টাকা প্রদান করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন