শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বিয়ের দেড় মাস পর বর নিখোঁজ গুমের অভিযোগ পিতার, ৭ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা কদমতলী গ্রামে বিয়ের দেড় মাস পর মোহাম্মদদ আব্দুর রহিম (২৩) নামের এক বর নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কুলকিনারা উদঘাটন করতে পারেনি বলে জানা গেছে। ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পিতা-মাতা ও তার পরিবার নির্বাক হয়ে পড়েছে। জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১১নং চন্দ্রঘোনা কদমতলী গ্রামের পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিছের সাথে তার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। অবাধ্য চলাফেরা ও বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ায় মো. ইদ্রিছ তার ছেলেকে ২০১৩ সালে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অভিমানী ছেলে মো. আব্দুর রহিম হাটহাজারী থানার সওদাগর পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে। একই এলাকার জনৈক জাকির হোসেনের কন্যা কোহিনুর আক্তারের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে চন্দ্রঘোনায় আসেন আব্দুর রহিম। বিয়ের কাবিননামায় সাক্ষী হিসেবে তার পিতার স্বাক্ষর নিয়ে হাটহাজারী ফিরে যায়। একমাস পর আব্দুর রহিম নতুন বউকে নিয়ে হাটহাজারী থেকে রাঙ্গুনিয়া চন্দ্রঘোনা কদমতলী গ্রামে আসে। পিতার বাড়িতে ১৫ দিন থাকার পর হাটহাজারীর ভাড়া বাসায় ফিরে যায় তারা। বরের পিতা মো. ইদ্রিছ বলেন, আমার অজান্তে ছেলে বিয়ে করে, বিয়ের এক মাস পর নতুন বউ নিয়ে চন্দ্রঘোনা গ্রামের বাড়িতে আসে এবং তাদের গ্রহণ করি। ১৫ দিন বাড়িতে থাকার পর পুনরায় হাটহাজারী উপজেলায় ফিরে যায়। যাওয়ার পর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ এবং মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে উল্টো আমার কাছ থেকে বিয়ের কাবিননামার ৭ লাখ টাকা দাবি করছে তারা। আমার ছেলে যদি অন্যায় করে থাকে, সে জেলে যাক কোন আফসোস নেই। আমার ছেলেকে গুম করা হয়েছে। ছেলে নিখোঁজের মামলা করলেও ৭ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন