ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে তিন ব্যক্তি মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভির রাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও কালীগঞ্জে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। নিহতদের মধ্যে কালীগঞ্জ শহরের শ্রীলক্ষী সিনেমা হলের সামনে নদীপাড়ার হারুনর রশিদের ছেলে ভাঙড়ি শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), একই এলাকার অনিল কুমারের ছেলে রিকশা চালক বিপুল কুমার (৪৫) ও শ্রীলক্ষী সিনেমা হলের পেছনে ঢাকালে পাড়ার খোকন মিয়ার ছেলে মোটর শ্রমিক রাজিব হোসেন (২৫)।
নিহতদের পরিবার বলছে নিহতরা সবাই স্ট্রোক করে মারা গেছে। তবে পুলিশ ও চিকিৎসকরা বলছেন নিহতরা সবাই অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।
নিহত বিপুল কুমারের ভাই নির্মল কুমার জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিপুলের প্রেসার লো হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনের চাচা মিরু খাঁ জানান, রাতে হঠাৎ জাহাঙ্গীর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময় সে প্রচুর ঘামছিল। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায়। ধারনা করা হচ্ছে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে।
শহরের ঢাকালে পাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহতরা সবাই কালীগঞ্জ মেইন বাস্টান্ডের রেজা হোমিও হল থেকে অ্যালকোহল পান করে। এরপর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তিনি আরো জানান, হোমিও চিকিৎসার আড়ালে শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অ্যালকোহল বিক্রি হলে প্রসাশন কোন পদক্ষেপ নেয় না।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিবলী খাতুন জানান, রাতে যখন রোগী এসেছিল তখন ডাক্তার তানভীর আহমেদ দ্বায়িত্বে ছিলেন। তবে রেকর্ড বইয়ে রাজিব হোসেন অ্যালকোহল পয়জেনিংয়ে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসসপাতালে রেফার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিরা সবাই বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করেছিল। অ্যালকোহল পানের পর তারা সবাই বিষক্রিয়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাদের হাসপাতালে নিলে মারা যায়। এখন মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন