শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

‘গুলশান মেহেরীন’কে ভাগিয়ে নিতে চায় ভূমিদস্যুচক্র

পটিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের পোস্টঅফিস মোড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্ট গুলশান মেহেরীনকে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছে একটি ভূমিদস্যু চক্র। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন গুলশান মেহেরীনের পরিচালক হাসান উল্লাহ চৌধুরী।
তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, তার খরনা গ্রামস্থ বাড়ির শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও তার চাচা ডা. এস. এম. কামাল এ. চৌধুরীর পোস্টঅফিস মোড়ে প্রায় ১৮.৯৯ শতক ভূমি রয়েছে। সেখানে ২০০৬ সালে হাসান উল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে ডা. কামাল আহম্মদ চৌধুরীর পুত্র মোস্তফা কামালের সমন্বয়ে গুলশান মেহেরীন রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। মোস্তফা কামাল চৌধুরী হাসান উল্লাহ চৌধুরীকে ব্যবসায়ীক পার্টনার নিয়োগ করেন। পরে দু’জন ২ কোটি টাকা ব্যয়ে গুলশান মেহেরীনকে ৩য় তলায় উন্নীত করেন। গুলশান মেহেরীনকে আধুনিক মডেলে রূপান্তর করে ২য় তলায় উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট করা হয়।
ডা. কামাল আহম্মদ চৌধুরীর ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। পিতা মাতার সাথে মেয়ে ডা. কানিজ ফাতেমার সর্ম্পক ভালো না থাকায় ১৮.৯৯ শতক ভূমি পুত্র মোস্তফা কামালের নামে তার পিতা হেবা দলিলে হস্তান্তর করেন। পিতা-মাতার মৃত্যুর কিছুদিন পর অবিবাহিত অবস্থায় মোস্তফা কামালের মৃত্যু ঘটে। এতে রেস্টুরেন্টের পরিচালক হাসান উল্লাহ চৌধুরী প্রায় ১ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক লভ্যাংশ প্রতিমাসে ডা. কানিজ ফাতেমাকে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে মুসলিম ফরায়েজ মতে ডা. কানিজ ফাতেমার চাচাতো ভাইয়েরা মোস্তফা কামালের অর্ধেক সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়। উভয়ের মধ্যে বৈঠকে মাসিক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় প্রতিষ্ঠানটি হাসান উল্লাহ চৌধুরীর নিকট ভাড়ায় লাগিয়াত করে। ডা. কানিজ ফাতেমাকে ৭০ হাজার টাকা ব্যাংক একাউন্টে ও বাকি টাকা চাচাতো ভাইয়েরা গ্রহণ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে চাচাতো ভাইদের ওয়ারিশ অস্বীকার করে ভূমিদস্যূ চক্রের খপ্পরে পড়ে ডা.কানিজ ফাতেমা রেস্টুরেন্টের পুরো ভূমি বাইরে বিক্রয়ের চেষ্টা করলে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাসান উল্লাহ চৌধুরীর নিকট উক্ত ভূমি বিক্রয়ের প্রস্তাব করেন। বিভিন্ন টালবাহানা করার পর হাসান উল্লাহ চৌধুরীকে ডা. কানিজ ফাতেমা নিজের জন্য ৩ কোটি টাকা ও ভূমি বিক্রয় দালাল নুরুল আবছারের জন্য ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলেন। এতে হাসান উল্লাহ চৌধুরী রাজি হয়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার নিয়ে ডা. কানিজ ফাতেমার ঢাকার বাসায় গেলে ভূমিদস্যু চক্রের কথায় ঘুরে বসে এবং পে-অর্ডার গ্রহণ করেননি।
এছাড়া ডা. কানিজ ফাতেমার নামে সম্পূর্ণ ভূমি অবৈধভাবে নামজারি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তার চাচাতো ভাইগণ ভূমি অফিসে আপত্তি দিলে নামজারী খতিয়ানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। হাসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ওয়ারিশদের বঞ্চিত করে কানিজ ফাতেমা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন